২৬টি দৃশ্য কর্তন এবং নাম পরিবর্তনের শর্ত মেনে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়া ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পাচ্ছে আজ। দুই দফায় হাইকোর্টের রায়ও মিলেছে ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির পক্ষে। সব বাধা কাটিয়ে আজ মুক্তি পাচ্ছে বানসালির সেই স্বপ্নের ছবি ‘পদ্মাবত’। হাইকোর্টের রায়ের পর ‘পদ্মাবত’র মুক্তিতে বলতে গেলে আর কোনো আইনগত বাধাই নেই।
আশঙ্কা আছে রাজপুত ও করণি সেনাদের নিয়ে। শুরু থেকেই তারা ছবির বিপক্ষে বিক্ষোভ করে আসছে। ‘পদ্মাবত’ যাতে মুক্তির আলো না দেখে তার সব রকম চেষ্টাই তারা করেছে। ছবির পোস্টার ছেড়া, পরিচালক বানসালি ও অভিনেত্রী দীপিকার ছবিতে আগুন দেয়া, তাদের মাথা কাটার হুমকি দেয়া থেকে শুরু করে বানসালির পরিবারের মেয়েদের নিয়েও তারা করেছে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। গত মঙ্গলবারও তারা গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে।
এর আগে ছবিটির মুক্তি একসঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকার। এই নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দারস্থ হয় ‘পদ্মাবত’র প্রযোজক সংস্থা। পরে গত কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয় যে, সেন্সর বোর্ড যেহেতু শর্ত সাপেক্ষে ছাড়পত্র দিয়েছে সেহেতু কোনো রাজ্যই এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।
এমন রায়ের পর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যায় গুজরাট ও ম্যধপ্রদেশ সরকারও। তারা রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানায়। কিন্তু দুই রাজ্যের এই আর্জি মঙ্গলবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের পর ক্ষেপে যায় গুজরাটের রাজপুত সেনারা। ‘পদ্মাবত’ মুক্তির পক্ষে হাইকোর্টের দেয়া শেষ রায়ের দিন পেরোতেই মঙ্গলবার সারারাত সেখানে তাণ্ডব চালায় রাজপুতরা। আহমেদাবাদে কমপক্ষে ২০০টি গাড়ি ও আটটি দোকান ভেঙে তছনছ করে দেয় তারা। আগুন দেয়া হয় আরও কমপক্ষে ৫০টি যানবাহনে।
শুরু থেকেই যে ছবির বিরোধিতা করে আসছে গুজরাটের রাজপুত সেনারা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন করণি সেনারাও। বরাবরই তাদের অভিযোগ, ছবিতে ভারতের বহু বছরের পুরনো ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে এবং রাণী পদ্মিনীর চরিত্রকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। ছবির এই বিতর্কিত চরিত্র ‘রাণী পদ্মাবতী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, আছেন রণবীর সিং ও শহিদ কাপুর।