ইন্টারনেট বন্ধ করে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার সকালে সিলেটের মিরের ময়দানে বিশ্ব বেতার দিবস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়েই পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন এসেছে সামাজিক মাধ্যমে। পরীক্ষা শুরুর ২৪ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্নগুলো আপ করা হয় ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।
যারা সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন আপ করেছে, তারা রীতিমতো মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এমনকি তাদেরকে কিছু করা যাবে না বলেও সামাজিক মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছিল তারা।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী, ব্যাংকার, অভিভাবকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে অর্ধশতকের বেশি।
পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে বাধা দিতে পরীক্ষা শুরুর সময় আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তবে তা পরে বাতিল করা হয়েছে।
জাফর ইকবাল বলেন,‘এভাবে প্রশ্ন ফাঁস চলতে থাকলে এদেশে শিক্ষার কোনো গুরুত্ব থাকবে না। সরকারকে এগুলো বন্ধ করতে হবে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে আমি শহীদ মিনারে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন করেছি, তখন প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকারও করা হয়নি। এখন স্বীকার করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।’
‘কিভাবে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে-দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত তাদের শাস্তি দিতে হবে।’
প্রয়োজনে বিজি প্রেসে প্রশ্ন না ছাপিয়ে বিকল্প উপায়ে প্রশ্ন ছাপানোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন জাফর ইকবাল।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ এর সঠিক সমাধান নয়। প্রশ্ন ফাঁসের মূল কারণ উদঘাটন করে এর সমাধান করাটাই সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন।’