বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। একটি উপযুক্ত সময়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নেবেন। তার সাথে সাথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন। এইবার কর্মসূচি সময় বুঝে, উপযুক্ত সময়ে দেওয়া হবে। যাতে করে আমাদের পিছিয়ে চলে যেতে না হয়। এটা হবে ‘লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল’ কর্মসূচি। এবং এই কর্মসূচির মাধ্যমেই আমরা যখন মাঠে নামবো, বিএনপি যখন মাঠে নামবে, তখন গণআন্দোলন এবং দেশের মানুষের গণজোয়ার হবে। সে জোয়ারে আশা করি নৌকা ভেসে যাবে। যতই অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন করুন একদিন আপনারা বাধ্য হবেন সব দাবি মেনে নিতে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বাধ্য করা হবে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর শর্তহীন মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, বিএনপির পথ এখন খোলা, আমরা সমঝোতার কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ের কথা বলছেন। নির্বাচনকালীন সরকার বলতে আমাদের সংবিধানে কিছু নেই। অর্থাৎ আমরা বলতে চাই তিনি সংবিধান থেকে সরে এসেছেন কি না? তাহলে আলাপ আলোচনা হতে পারে, সবাইকে নিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা করতে পারি। আর যদি সেটা মনে না করেন, তাহলে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যতই অত্যাচার, নির্যাতন করেন না কেনো, মামলা-হামলা দেন না কেনো, যতই আমাদের নেত্রীকে অবরুদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন না কেনো, এমন একদিন আসবে যেদিন আপনারা বাধ্য হবেন জনগণের এই দাবি মেনে নিতে।
একটি দৈনিক পত্রিকার বরাত দিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ৩০ জানুয়ারি সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোয় যাবেন। নির্বাচন কমিশন কী করে? এগুলা দেখে না? পত্রিকা পড়ে না? জাতীয় নির্বাচনের তারিখ যেখানে এখনও ঘোষণা করা হয়নি, সেখানে কিভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়া যায়?
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপিকে ঘরবন্দি করে আপনারা নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছেন। আমাদেরও সুযোগ দিন। আমাদের হাত-পা বেঁধে প্রচারণা চালিয়ে যাবেন। নির্বাচন কমিশন কী করে? পক্ষপাতদুষ্ট এই নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে তিনি বলেন, সেদিন কোর্টে আমাদের নেত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি চিন্তিত কিনা? উনি বললেন, আমি এগুলো পরোয়া করি না। এরকম শক্ত মনের নেত্রী আমাদের আছে। বর্তমান সময়ে বেগম খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।
শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।