কবির হোসেন -কাপ্তাই থেকে।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের তালপট্টি বাসিন্দা মো: ইউসুফ ছাগল পালন করে লাখ টাকা উপার্জন করছে। তিনি বিএফআইডিসি, কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কেন্দ্রের ( এলপিসি) একজন মাষ্টার মেকানিক পদে কর্মরত রয়েছে।
৪ বছর আগে সখের বসত ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ৩টি রাম ছাগল কিনে বাসার সামনে খামার করে লালন- পালন শুরু করেন।
৩টির মধ্যে একটি ছাগল কুকুরে কামড়ে মেরে ফেলে।আর থাকে ২টি। ক্রয় করার পর একটি ছাগলের নাম রাখে বুড়ি। বুড়ি ছাগল হতে জন্মনেয়া ও অন্যন্যা ছাগল মিলে বর্তমানে খামারে মোট ৬২ টি বিভিন্ন জাতের ছাগল রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকার বেশি হবে।এমনকি গত ৪ বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ছাগল বিক্রিও করেছেন তিনি।
পাশাপাশি দেখা শুনার জন্য ২জন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। চাকুরীর পাশাপাশি অবসরে ছাগল খামরে বাকী সময় ব্যয় করেন।
মো. ইউসুফ জানান , ২০১৯ সালে অনেকটা শখের বসে ৩ টি দেশী রাম ছাগল কিনে বাসায় পালন শুরু করি। এই ৩ টি ছাগল হতে বংশবৃদ্ধি হতে হতে বর্তমানে ছোট বড় মিলে আমার খামারে ৬২ টি ছাগল হয়েছে। তৎমধে রাম ছাগল, দেশী ছাগল এবং পাঁঠা ছাগল বেশী । প্রতি কোরবানি ঈদে দেশী ছাগল এবং হিন্দুদের মনসা পুজায় পাঁঠা ছাগল বিক্রি করে আমি বছরের লাখ টাকার কাছাকাছি লাভ করে থাকি। গত বছর তিন লাখ টাকার ছাগল বিক্রয় করেছে। আমার খামারের দেখা শুনার জন্য ২ জন লোক রেখেছি। তাদেরকে মাসে মাসে বেতন দেই।
তিনি আরোও বলেন, সমাজে অনেক বেকার ও শিক্ষিত যুবক-যুবতী রয়েছে। তারা বেকার সময় ও চাকরীর পিছনে না ছুটে আমার মত ছাগল কিনে লালন-পালন করলে অবশ্যই স্বাবলম্বী হবে । বর্তমানে ছাগলের খাবারের দাম বাড়াতে আর বেশি ছাগল পালন করতে পারছি না বলে জানান।
কাপ্তাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এনামুল হক হাজারী ও ভেটেরিনারি হাসাপাতালের সার্জন জাকিরুল ইসলাম জানান কাপ্তাই উপজেলার মধ্যে একজন সফল মডেল খামারি মো. ইউসুফ। ৩টি ছাগল হতে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আমরা ঐ খামারিকে সরকারিভাবে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। উক্ত সফল খামারি উদ্যোক্তার মত এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরাও এগিয়ে আসা দরকার। তাহলে সমাজে আর বেকার থাকবেনা। চাকুরীর পিছনে ছুটতে হবেনা ।
গত ৫ অক্টোবর তাঁর খামারের ছাগলগুলোকে বিনামূল্যে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করা হয়।