গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
বুধবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ইউপি সদস্যরা লিখিতভাবে এ অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন। এর আগে প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগে এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন ইউপি সদস্যরা।
অনাস্থা প্রস্তাবে ইটভাটার কর আদায় করে ইউপি তহবিলে জমা না দেয়া, ভিজিডি কার্ড, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি কার্ড, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে অর্থ আদায়, গ্রাম আদালত অবমাননা ও বিচারের নামে অবৈধভাবে আটকাদেশ দিয়ে অর্থ আদায়, পাকা বাড়ির নকশা অনুমোদনের নামে অর্থ আদায় করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের ১০ জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক এ অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন।
এছাড়া চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ইউপি ভবনের ভাঙা দরজা-জানালা মেরামত ও ইউপি ভবন রঙকরণ এবং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণার বিভিন্ন কার্যক্রম না করাসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন না করে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন ইউপি সদস্যরা।
এ নিয়ে গত রোববার ইউপি সদস্যরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরোপিত এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, প্রাপ্ত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়গুলো জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়েও পদ্ধতিগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।