সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ইউপি সচিব অজিত রায়ের কর্তৃক অসহায় গ্রাম পুলিশের অবসর প্রাপ্ত দফাদারের সাথে নিষ্টুর ও অমানবিক আচরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার বিকেলে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত দফাদার বর্তমান জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের লম্বাবাঁকের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহাব মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমি জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৩০ বছর সুনামের সাথে কর্মরত ছিলাম। কর্মরত থাকা অবস্থায় পরিষদের সচিব অজিত রায় আমাকে মৌখিক ভাবে অবসরের কথা বললে আমি লিখিত ভাবে বিদায় চাইলে, অজিত রায় আমাকে সাফ জানিয়ে দেন অফিসে আর না আসার জন্য। আমি অল্প শিক্ষিত নিরীহ মানুষ, তাই অজিত রায়ের কথা মত মৌখিক অবসরে চলে যায়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি অভিযোগ নিয়ে গেলে আমাকে সার্ভিস বুক নিয়ে যেতে বলেন। আমি পরে অজিত রায়ের কাছে গেলে তিনি আমাকে জানান, উনার কাছে আমার কোন ফাইল ও কাগজ পত্র নাই।
নিরুপায় হয়ে ২ বছর ধরে ফাইল খোঁজাখোজি করে কোন লাভ হয় নাই। পরে সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার কে বিষয়টি জানালে তিনি কাগজ পত্র গুলো বের করে দেন। আমি হার্টের রোগী সবসময় বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে হয়। টাকার অভাবে আমার চিকিসা করাতে পারছিনা।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার বলেন, আমার কাছে বিগত তিন মাস আগে এসে দফাদার ওয়াহাব মিয়া মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলো বিষয়টি দেখার জন্য।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব অজিত রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, তদন্তে সত্য প্রকাশিত হবে।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামীম আল ইমরান বলেন, অভিযো পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুসন্ধানে আরও জানাযায়, ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ট সচিব হিসেবে পুরষ্কার পায়। তার পর থেকে তিনি বেপরুয়া হয়ে কাগজ পত্র ঠিক রেখে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্বসাৎ করে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক। তার পূর্বের অবস্থা ভাল ছিলনা কিন্তু অবৈধ টাকা দিয়ে তিনি সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জের নাথবাড়ী, নয়াহালট ও বেহেলী সহ বিভিন্ন স্থানে জায়গা ও বাড়ী ক্রয় করেন। এছাড়া তিনি ষ্টীল বডির কয়েকটি নৌকা আত্বীয়স্বজনের নামে তিনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জনমনে প্রশ্ন এতো কম বেতনে চাকুরী করে কিভাবে কোটিপতি ইউপি সচিব অজিত কুমার রায়?এ নিয়ে জামালগঞ্জে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আরও জানাযায়,বর্তমান ফেঁনারবাঁক ইউনিয়নে পরিষদের সচিব অজিত রায়ের ব্যাবহার এত খারাপ, তার খারাপ ব্যাবহারের কারণে ইতি পূর্বে ২জন দফাদার চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা দফাদার বলেন,তিনি অনেক সময় শারীরিকভাবেও লাঞ্চিত করেন,মান সম্মানের ভয়ে তার এসব কর্মকান্ডের কথা কাউকে বলেনি।