সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের লালবাজার-চান্দবাড়ী রাস্তার মাহমুদপুর গ্রামের সামনে মাটি ভরাট ও গুজাখালী ব্রীজ থেকে পুরান চান্দবাড়ী পর্যন্ত পর্যাপ্ত মাটিভরাট না থাকায় এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন হিলিপ প্রজেক্টের দেড়কোটি টাকার পাকা করনের কাজ আটকে আছে।
জানা যায়, চলতি মেয়াদে লালবাজার-চান্দবাড়ী পর্যন্ত সাব মারজিবল রাস্তা করনে উপজেলা এলজিইডি অফিস হিলিপ প্রজেক্টর মাধ্যমে ২টি প্রকল্পে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।এ প্রকল্পে ২০১৪-১৫ অর্থ বৎসরে ৫৪ লক্ষ, ২০১৫-১৬ অর্থ বৎসরে ৯৪লক্ষ টাকার সাবমারজিবল রাস্তা পাকা করনের প্রক্রিয়া শুরু করে। ইতিমধ্যে প্রকল্পে ত্রাণপূর্নবাসনের আওতায় গুজাখালীর নালায় একটি ব্রীজ স্হাপন করা হয়েছে। মৌলিনগর নদীতে কালভার্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবী রাস্তাটি উচু করে বাস্তবায়ন করা। এরই প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন গত শুক্রবার লালবাজার এক পথ সভায় রাস্তায় মাটি ভরাটের উদ্ব্যেগ গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। রাস্তাটি হলে নোওয়াগাঁও টু লালবাজার হয়ে সহজেই লোকজন জামালগঞ্জ যাতায়াত করতে পারবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে সুবিধা হবে। আন্ত:ইউনিয়ন যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রসারিত হবে।
মাহমুদপুর গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মুছাব্বির বলেন, রাস্তাটি জনগুরুত্ব পূর্ণ হওয়ায় উচু করে পাকা করনের দাবি জানাই।
মৌলিনগর গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুলেইছ বলেন, রাস্তাটি স্থায়ীভাবে ভরাট করলে আমরা সহজেই উপজেলায় যেতে পারব।
ইউপি সদস্য তহুর মিয়া বলেন, মাটি ভরাটের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি উচু করতে পারছিনা। এমপি মহোদয়ের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, এমপি মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক মাটি ভরাটের জন্য প্রাক্কলন তৈরী করে পাঠানো হচ্ছে। মাটি ভরাটের পাশাপাশি পাকা করনের কাজ চলবে।