নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে যাওয়া–আসাতেই সমাধান নয়। দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে। এমন পরামর্শ দেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন মোল্লা তিনি আরো বলেন, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং অতিমাত্রায় দলীয়করণ পুরো স্বাস্থ্য খাতকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে শুদ্ধি অভিযান চালানোর তাগিদ দিলেন। করোনার মহামারিতে অন্য সমস্যার পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য খাত কতটা নাজুক অবস্থায় আছে তার চিত্র সবার সামনে উঠে এসেছে।
সম্প্রতি কোভিড–১৯ ভুয়া সার্টিফিকেট হাসপাতালগুলোর সাথে চুক্তি, রিজেন্ট ও জিকেজি হাসপাতালের অনিয়ম, চেয়ারম্যানদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আরও স্পষ্ট হয়েছে এ খাতের দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খল অবস্থা। প্রকাশ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিও। এসব কারণে তীব্রসমালোচনার মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আরেকজন পরিচালককেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
জনাব শফি উদ্দিন মোল্লা বলেন, শুধু পদত্যাগেই সমস্যার সমাধান হবে না। অনিয়ম দূর করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালাতে হবে। সুশাসন ঘুষ–দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তুলতে হবে ।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে এটা ভাবার কোনো কারণ নাই। কেননা এই স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বহুদিনের একটা অব্যবস্থাপনা এবং এর শিকর বহুদূর । দুর্নীতি যেদিকে হয় সে জায়গা গুলোর দিকে হাত দিতে হবে। এর সাথে ভেতরের ও বাইরের বহুলোক জড়িত আছে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, চুক্তি ও ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা আনা জরুরি। বিভিন্ন যে ক্রয় চুক্তিগুলো হয় সেগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। এ সেক্টরে উচ্চপর্যায়ে নিয়োগের বিষয়ে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি না হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, তাই সমাজতন্ত্রের আলােকে সর্বজনীন জনস্বাস্থ্যসেবা , সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা , সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে । এই খাতে আরও বেশি নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সভাপতি জনাব শফি উদ্দিন মোল্লা।