তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: ভরা মৌসুমেও তালার কাঁচা তরি-তরকারির বাজারে আগুন লেগেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন শাক-সবজি কিনতে গিয়ে রীতিমত হীমসিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ। পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে অবস্থিত খুচরা বাজারে গিয়ে এক লাফেই কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে কাঁচা তরি-তরকারি। সমস্যাটি দীর্ঘদিনের হলেও বাজার মনিটরিং বা কোন নজরদারির ব্যাবস্থা না থাকায় দিনে দিনে এ অব্যাবস্থার আরো ব্যাপ্তি ঘটছে বলে ভুক্তভোগি মানুষের অভিযোগ।
তালা উপশহরে সপ্তাহে ৫ দিন বড় ধরনের কাঁচা মালের হাট চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। খুলনা, যশোর, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারীরা এখান থেকে কাঁচা মাল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তা বিক্রি করেন। স্থানীয় খুচরা বাজারেও এখান থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা। কিন্ত পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে অবস্থিত খুঁচরা বাজারে গিয়েই জিনিস পত্রের দাম এক লাফেই কেজিতে ১০/১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। গত সোমবার সকালে তালার পাইকারি কাঁচা মালের হাটে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালিন সবজির মধ্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩৫ টাকা , খুচরা বাজারে গিয়ে এক লাফেই তা হয়ে গেছে ৪০/৪৫ টাকা, নতুন আলু পাইকারি বাজারে ১৬ টাকা , খুঁচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা, কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা , খুঁচরা বাজারে ৬০ টাকা, পিয়াজ পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা খুঁচরা বাজারে ৭০ টাকা । এভাবে প্রতিটি কাঁচা মালের দাম যাচাই করলে দেখা যায় এই আকাশচুম্বি দরের তারতম্য। খুঁচরা বাজারের ব্যাবসায়িরা এক প্রকার সিন্ডিকেট করে দর বাড়িয়ে দেয়ার কারনে সাধারন মানুষ তাদের প্রয়োজনে এক প্রকার বাধ্য হয়েই উচ্চ মূল্য দিয়ে ক্রয় করছেন শীতকালিন সবজি। তালা বাজারের এই মূল্য তারতম্য দীর্ঘদিনের হলেও কোন বাজার মনিটরিং এর ব্যাবস্থা না থাকায় দিনে দিনে তা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।