লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ(স্টাফ রিপোর্টার)।
বাংলাদেশে খুব পরিচিতি লাভ করেছে এ ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, সেইসঙ্গে কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও। আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু এই ফলের চাহিদা আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে।
ড্রাগন ফলে আছে পর্যাপ্ত ডায়েটরি ফাইবার। এক কাপ ড্রাগন ফলে থাকে ১৩৬ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম ফাইবার, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮ শতাংশ, ভিটামিন-সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ, ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ এবং ফ্যাট একেবারে নেই ।
ড্রাগন হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং বিটাসায়ানিন এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে। ড্রাগন ক্যান্সার এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করে ।
ড্রাগন ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা যায়।
নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে এই ফল।
ড্রাগন ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই ড্রাগন ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে দ্রুত।
ড্রাগন ফল হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ক্ষমতাও বাড়ে। ড্রাগন ফল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।