লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ(স্টাফ রিপোর্টার)
আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার ৩দিন পর ডালিম মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে আখাউড়া – আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তপথে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছেন।
এসময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি – বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত বাংলাদেশি যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তবর্তী মাদলা গ্রামের মোহন মিয়া (৫০) ছেলে।
এদিকে জহিরুল ইসলাম নামে একই এলাকার বাসিন্দা গুরুতর আহত অবস্থায় আগরতলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
জানাগেছে, কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়াসহ কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে জহিরুল (৩০) একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং কসবার কোল্লাপাথর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৬)সহ কয়েকজন বাংলাদেশি মিলে শুক্রবার রাতে কসবা সীমান্তপথে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্তের নো- ম্যান্সল্যান্ডে (শূন্যরেখায়) রাজ্যের টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং সাংবাদিকদের জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানাধীন গোলাঘাটী গ্রামের একটি বিদ্যালয় থেকে শনিবার সকালে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। এসময় সেখানকার ভারতীয় অধিবাসীরা তাদের চোর সন্দেহ করে ধাওয়া করে ডালিমকে ধরে ফেলে এবং ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম নামে অপর এক বাংলাদেশি যুবক
পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে জহিরুলকে জনরোষের কবল থেকে টাকারজলা থানা পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ডালিমকে কেন এবং কে বা কারা পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা সঠিক ভাবে জানাতে পারেনি বিএসএফ।
তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের কাছ থেকে আখাউড়া থানা পুলিশ সোমবার রাত ১১টায় ওই লাশ গ্রহণ করে।
আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, যেহেতু হত্যাকান্ড ভারতে ঘটেছে সুতরাং ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে বিচার চাইলে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।