স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংসদকে জানিয়েছেন, দেশে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নীচে নেমে গেছে। ফলে শুষ্ক মওসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। গতকাল সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য টিপু সুলতানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীতে দেড় শতাধিক নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে জনসংখ্যার অনুপাতে পাবলিক টয়লেট কম। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এ সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এজন্য ঢাকা মহানগরীতে নির্মাণ করা হচ্ছে দেড় শতাধিক নতুন পাবলিক টয়লেট। এগুলোকে মহিলা ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জায়গার অপ্রতুলতার কারণে নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা প্রধান সমস্যা। বিদ্যমান টয়লেটগুলোর অধিকাংশের ইজারাদারের বিরুদ্ধে মামলা বা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সেগুলো ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করতে দেরি হচ্ছে। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৭টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। প্রতিটিতে নারীদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যবস্থাও আছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের উন্মুক্ত স্থানগুলোর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ৭৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণে মোট ৫৩টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। প্রতিটি পাবলিক টয়লেটে নারীদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ সিটিতে ৫৯টি পেট্টোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন রয়েছে। ওইসব পাম্প ও স্টেশনের দুইটি বাদে সবগুলোতে টয়লেট সুবিধা রয়েছে, যা জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সংসদকে জানান, দেশে বর্তমানে মোট ৮৭ শতাংশ জনগণ নিরাপদ পানি সুবিধার আওতাভুক্ত। সে হিসেবে দেশে মোট ১৩ কোটি ৯২ লাখ জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধা ভোগ করে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতাভুক্ত। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ শতাংশ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ শতাংশ মানুষ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন।