মাদারীপুর প্রতিনিধি।
মাদারীপুর জেলার কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমি ভুয়া বন্দোবস্ত কেসে খতিয়ান সৃজন ও মাঠ জরিপে বিএস রেকর্ড হয়ে বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
একটি সংঘবদ্ধ ভূমি দস্যু চক্র স্থানীয় ভূমি অফিস, বিএস মাঠ জরিপ কর্মকর্তা ও রাঘব বোয়ালদের নেপথ্য শেল্টারে দিনের পর দিন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আত্মসাত করে চলছে। খাল সহ জলাশয়কে নাল জমি দেখিয়ে ভুয়া বন্দোবস্ত কেসে খতিয়ান, মাঠ জরিপ হয়ে কয়েক হাত বদল হয়ে গেছে মালিকানার। একটি ভূমি দস্যু চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সরকারের সম্পত্তি বিক্রি করে। এসব খাল, জলাশয় ভরাট হয়ে দৃশ্যমান হয়েছে অগনিত স্থাপনা, বহুতল ভবন।
এদের হাত থেকে রেহাই পায়না সাধারণ মানুষ। ভূমি দস্যু চক্র অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষের জমির খোজ খবর নিয়ে মিলে মিশে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করে।
আমাদের অনুসন্ধানি টিমের কাছে এরকম তথ্য দিলেন সমশের আলী,বারেক মোল্লা নামে ভুক্তভোগী। যেমন কেউ জমির মিউটেশন করতে গেলে যেখানে সরকারের নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন কিন্তু দেখা যায় সেখানে মাসের পর মাস হয়ে যায় মিউটেশন হয়না। কিন্তু ভূমিদস্যুরা তহসিলদার এবং সার্ভেয়ার ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বৈধ জমির মালিকদের নামে না দিয়ে ভূমিদস্যুদের নামে নিয়ে নেয়।
এই চক্রটি যাঁরা নিজেদের ঘামের বিনিময়ে বিদেশে থেকে টাকা উর্পাজন করে দেশে জমি ক্রয় করে তখন তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।এমনকি তারা বিভিন্ন হাইব্রিড নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম করে কিন্তু দেখা যায় অনেক নেতা জানেনই না তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে বিভিন্ন অপকর্ম।
তাদের বিভিন্ন হয়রানির কারণে অনেকেই দেশে এখন জমি ক্রয়ে ইনভেস্টের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
জানাযায়, কিছুদিন আগে দূর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ নামে এক ভুমি কর্মকর্তার চাকরি চলে যায়।সে এখন ভুমি অফিসে বসে দালালী করে ভূমিদস্যু ও অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে!
তারা আরো জানান, এই কর্মচাীরাদের রয়েছে নামে বেনামে একাধিক বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট এমনকি তাদের সন্তানের দেশের বাইরে পড়াশোনা করে কোথায় পায় এত টাকা, তাদের বেতন কত।
ভূক্তভোগীরা বলেন,আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে যদি সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সাধারণ মানুষের দোয়া থাকবে সরকার ও আপনাদের প্রতি।