গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের ও ক্ষমতাসীন দলের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগপত্রে মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি (অব.) কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনসহ আট জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদা সুলতানা শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে সাবেক এমপি আবদুল কাদের খাঁনসহ সাত আসামি উপস্থিত ছিলেন। তবে চার্জশিটভুক্ত এক আসামি আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, কষাই সুবল চন্দ, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদী হাসান, শাহীন ও রানা মিয়া।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এমপি লিটন হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পূর্বের ধার্য্য তারিখ অনুযায়ী সাবেক এমপি আবদুল কাদের খাঁনসহ সাত আসামিকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলে জানান আদালত।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে পালিয়ে থাকা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমারকে গ্রেফতার ও তার বাড়ি ক্রোকের আদেশ জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার (মাস্টারপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়ীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি লিটনের বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে একই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খাঁনকে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বগুড়ার নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়া কাদের খাঁনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনে করা মামলায় গত ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে অস্ত্র আইন মামলার বিচার কাজ চলছে।