কবির হোসেন-কাপ্তাই।
ঈদ শেষে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচেপরা ভিড় দেখা গেছে। টানা ৫ দিন সরকারি ছুটি থাকায় কাপ্তাইয়ে পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে মুখরিত হয়ে উঠে। ইতিমধ্যে বিনোদন কেন্দ্রগুলো লাখ টাকারও বেশি আয় করেছে বলে জানাযায়।
চাকরির সুবাদে বেশীর ভাগ মানুষের ঘোরা ও বিনোদনের জন্য সময় কোনটাই হয়ে ওঠেনা। ঈদের ছুটি পাওয়ায় শহর হতে কিছু দূরে পাহাড়, লেক ও প্রকৃতির নিকটে ছুটে চলা।
কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় প্রতিদিন গড়ে কাপ্তাইয়ে কয়েক হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ঈদে লাখ লাখ টাকার অধিক ব্যবসা হয়েছে। ঈদের দিন হতে সোমবার পর্যন্ত কাপ্তাইয়ের প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রের রিসোর্ট গুলো খালি ছিল না। আবার রিসোর্টে জায়গা না পেয়ে অনেক বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটকদের তাঁবুর সামনে রাত্রি যাপন করতে দেখা যায়।
বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্র নিসর্গ রিভার ভ্যালিতে তাদের বিনোদন কেন্দ্রে নির্মিত পড হাউসের সামনে শত শত পর্যটক। এসময় অনেক বিনোদন প্রেমীরা কর্ণফুলী নদীর পাশে বসে গীটার সহ অন্যান্য যন্ত্র নিয়ে এবং পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে গান গাইছে আর আনন্দ করছে।
নিসর্গ রিভার ভ্যালির পরিচালক নাছির উদ্দীন জানান, ঈদের ২ দিন আগ হতে আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের ৯ টি পড হাউস বুকিং রয়েছে। এই কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার এর মতো পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
সেনাবাহিনী পরিচালিত কাপ্তাই জীবতলি লেকশোর পিকনিক স্পট , নৌ বাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইস, কাপ্তাই ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা রিভার ভিউ পার্ক,বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্স এবং শিলছড়ি বালুচরে অবস্থিত বন বিভাগের প্রশান্তি পার্কে ঈদের পরেরদিন সোমবার গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্র গুলোতে শত শত পর্যটক ঘুরতে এসেছে। এসব কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, প্রচন্ড গরম থাকা স্বত্বেও গত কয়েকদিনে প্রচুর পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটেছে কাপ্তাইয়ে।
উল্লেখ্য ঈদের পূর্বেই কাপ্তাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলো নানা রঙে সাজিয়ে রেখেছে।
চট্রগ্রাম হতে নিলিমা, শিতাকুন্ড হতে সাইফ বেড়াতে আসা তারা জানান কাপ্তাই তথা আমাদের বাংলাদেশ যে কত সুন্দর তা বেড়াতে বা প্রকৃতির পাশে না আসলে কখনো বুঝতে পারতাম না। মন চায় আরও একটু এ প্রকৃতির পাশে থেকে যাই। অনেক পর্যটক বিনোদন কেন্দ্রগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে স্মৃতির এ্যালবামের মত ছবি করে রাখছে।