বিশেষ প্রতিনিধি::
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো, আব্দুল হাসিম জারুনের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নুরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হাসিম জারুন হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি‘র প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ পান। কাজ শেষে রবিবার (৬ জুলাই) প্রত্যেক শ্রমিককে পারিশ্রমিক হিসেবে ৭হাজার ৮০০ টাকা শায়েস্তাগঞ্জ সোনালী ব্যাংক থেকে বুঝিয়ে দিবে। কিন্তু সকল শ্রমিক উপস্থিত হলে আব্দুল হাসিম জারুন ৭হাজার ৮০০ টাকার না দিয়ে ৬ জনকে ৪ হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার ও ১৫ জনকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি চুরানব্বই হাজার আটশত টাকা আত্বসাৎ করেন। এসময় ভিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা না মানায় শুরু হয় হট্টগুল।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ইউএনও সুমী আক্তার ও ভাইস চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান ইমরান তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় মেম্বার জারুন ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)’র প্রকল্পের শ্রমিক আমেনা খাতুন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে কেউ বাচতে পারবে না। আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ইউপি মেম্বার পালিয়ে যায়। উনার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমরা এ বিষয়ে শুনেছি এখনো মামলা করা হয়নি, মামলা হলে আমরা ব্যবস্থা নিব। উল্লেখ্য, ভিজিডি ও ত্রাণের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর অভিযোগে নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়াকে ১২ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্ত করে ।