মতলব উত্তর প্রতিনিধিঃ-
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর এলাকার মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা যুবলীগ নেতা, ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিন মিয়া।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৫ আগস্ট) জোহর ও আছর নামাজের পর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সদস্য।
মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা ঘাতকদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তাদের জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিলে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঝিনাইয়া জামে মসজিদে বিশেষ দোয়ায় অংশ নেয়া ফারুক হোসেন বলেন, আজ আমাদের পিতা হারানোর দিন। এদিন বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক একটি দিন। বাঙালি জাতিকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য কুচক্রী মহল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছিলেন, বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। নরপিশাচ কুলাঙ্গাররা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করলেও বাংলাদেশের উন্নয়নকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মর্যাদার আসন দখল করেছে।
মো. নাসির উদ্দিন মিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যে ব্যক্তি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছে তিনি আমাদের মাঝে নেই। আল্লাহ যেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন, আজ সেই দোয়া করেছি।
মো. নাসির উদ্দিন মিয়া বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতকরা এতটাই নির্মম ছিল যে, তাদের হাত থেকে শিশু রাসেলও রেহাই পায়নি। সেদিন ঘাতকরা যাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তারা সবাই ছিল নিষ্পাপ। আল্লাহ সবাইকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থান দান করবেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর একে একে ৪৫ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু সব খুনিকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রের কাছে আমাদের চাওয়া যেকোনো উপায়ে জাতির পিতার হত্যাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে, তাদের দেশে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
কলাকান্দা মসজিদের দোয়ায় অংশ নেয়া মামুন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট নিহতরা যেন বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থান পান আমরা সেই দোয়াই করেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল তা খুবই জঘন্য। মানুষ কতটা নিচ ও অকৃতজ্ঞ হলে যে মানুষটি দেশের স্বাধীনতা এনে দিল, তাকেই সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। রাসেলের মতো শিশুকেও খুনিরা ছাড়েনি। ওই খুনিদের আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবে না।