1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. 52newsbangla@gmail.com : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
কাপ্তাই সার্কেলের সাথে কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কাপ্তাই ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিতীয় কাপ্তাইয়ে আন্তর্জাতিক সেচ্ছসেবক দিবস পালন আর্ন্তজাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল হুইল চেয়ার বিতরণ কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তার বিদায় ও বরণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের শান্তিচুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি আনন্দ শোভাযাত্রা কাপ্তাই জোনের আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৬ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত নুরুদ্দিনের ২টি কিডনি বিকল, সকলের সহযোগিতায় বাঁচতে চায় কাপ্তাইয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

সরকারকে চাপ দিয়ে কিছু আদায় করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সরকারের শেষ বছর বলে সরকারকে চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতার পরোয়া তিনি করেন না।

নানা দাবিতে একের পর এক শিক্ষক সংগঠনের আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে রবিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শিক্ষা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এইটুকু ভরসা রাখতে হবে যে, আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, কাউকে বঞ্চিত করে নাই, বঞ্চিত করবে না। তবে এটুকু আমি বলব, চাপ দিয়ে কিন্তু কেউ কিছু আদায় করা যাবে না।’

গত ডিসেম্বর থেকে নানা দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন শিক্ষকরা। প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছেন প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের ‘বেতন বৈষম্য’ কমাতে বেতন গ্রেড উন্নীত করার দাবি নিয়ে।

সেই আন্দোলন শেষ হতে না হতেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অনশন করেছেন এমপিওভুক্তির দাবিতে।

এই আন্দোলন শেষ হতে না হতেই আন্দোলনে নামেন এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। তাদের অনশন হয় প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে। এরপর আবার অনশন শুরু করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন। তাদের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠান সরকারি করতে হবে। আরও আন্দোলনে আছেনে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের শেষ বছর এভাবে শিক্ষক আন্দোলন হয়েছে বাংলাদেশে। শিক্ষক নেতারা জানান, সরকারের শেষ বছর দাবি আদায় সহজ হয় বলে তারা এভাবে আন্দোলনে নামেন।

এবারও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দাবি পূরণে আশ্বাস পেয়েই অনশন কর্মসূচি ভেঙে বাড়ি ফিরেছেন নন এমপিও শিক্ষক, এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাসে বাড়ি ফিরেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। তবে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আশ্বাস মেলেনি।

শিক্ষকদের এসব আন্দোলন নিয়ে এই প্রথম কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, নীতিমালা ছাড়া কোনো দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেয়ার ইচ্ছা তার নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে সরকারের এটা শেষ বছর, কাজেই অযৌক্তিক দাবি করলেই আমরা সব শুনে নেব, আমি কিন্তু ক্ষমতার পরোয়া করি না, এটুকু বলে দিচ্ছি।’

‘ক্ষমতায় থাকি, না থাকি আমার কিছু যায় আসে না। আমি করি, যেহেতু এই দেশটা আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছে, তিনি এই দেশটাকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন… সেই চিন্তা থেকেই আমার রাজনীতি, সেই চিন্তা থেকেই আমার রাষ্ট্র পরিচালনা।’

‘ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে নিজের আখের গোছানো, নিজের ভাগ্য গড়ে তোলা বা নিজের ছেলেমেয়ের ভাগ্য গড়ে তোলা বা নিজের সম্পদ গড়ে তোলা, সেটা কিন্তু আমাদের নীতি না। আমরা করি না।’

গত নয় বছরে বাংলাদেশের বাজেট প্রাণ সাতগুণ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের বেতন ভাতা, অনুদান বাড়িয়েছি। এমনকি সরকারি বেসরকারি সব জায়গায় সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমরা কখনও কিন্তু কাউকে বঞ্চিত করছি না।’

‘তবে একটা ঠিক, কিছু দিলেই যদি আরও দাও আরও দাও করলে আমরা কিন্তু দিতে অপারগ হবো। কারণ, আমাদের বাজেট নিয়ে পরিকল্পিতভাবে চলতে হয়। সেটা মাথায় রাখতে হবে কতটুকু আমরা করতে পারি।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোথায় কোথায় সরকারি করতে হবে বা করতে হবে না, সেটাও তো একটা নীতিমালার ভিত্তিতে হবে। যখন তখন যে কেউ দাবি করলে সেটা পূরণ করা সম্ভব নয়। সেটা তো সকলকে অনুধাবন করতে হবে, বুঝতে হবে।’

‘আর এটা শিক্ষকদের জানা উচিত যে, আমি ৯৬ সালে এসে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কারও কিন্তু দাবি করতে হয়নি, আন্দোলন করতে হয়নি, আমরা তার আগেই করে দিয়েছি। কারণ আমরা একে গুরুত্ব দেই, দেশকে ‍উন্নত করতে চাই আমরা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যারা শিক্ষক, আপনারা মহৎ পেশায় নিয়োজিত আছেন, আপনাদের হাতেই রয়েছে জাতির ভবিষ্যত।’

‘একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমি এটুকুই চাই যে আপনারা কতটুকু দিতে পারলেন, কতটুকু করতে পারলেন, মানুষ গড়ার কারিগর আপনারা, কী ধরনের মানুষ আনব তৈরি করতে পারলেন বা আপনাদের কাছ থেকে যারা শিক্ষা নিয়েছে তারা এই দেশকে কতটুকু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারবে-সেটাই হচ্ছে বড় কথা।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
2019 All rights reserved by |Dainik Donet Bangladesh| Design and Developed by- News 52 Bangla Team.
Theme Customized BY LatestNews