গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পশ্চিম বজরা কঞ্চিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদার রহমান কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করায় বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলো এলাকাবাসি। যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ মুখর এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
স্থানীয় কাছে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান তার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়েকে বিদ্যালয়ে একাকি পেয়ে যৌন হয়রানী করে। এ ঘটনার পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে ডসয়ে বাবা, মা ও প্রতিবেশিদের অবগত করলে তারা ফুসে উঠে। এ নিয়ে ১৭ জানুয়ারি বুধবার আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে এলাকাবাসি জোট বেধে বিদ্যালয় অবরোধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মিছিল সহকারে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে তার বাড়ি অবরোধ করে।
অবস্থার বেগতিক দেখে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীকে ফিরিয়ে দেয়।
এঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে এলাকাবাসি বিদ্যালয়ের তালা খুলে দিলেও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন। ফলে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী শুণ্য হয়ে পড়ে। এঘটনার পর হতে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠছে।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুর রহমান বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে। তার শাস্তি হওয়া প্রয়োাজন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদার রহমান সে সময় সাংবাদিদের জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য এবং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরভানু বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমরা কমিটি বৈঠক করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা নেবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুন-অর-রশিদের সাথে কথা হলে তিনি এসময় সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেলে ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর হতে আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের পক্ষ হতে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্থানীদের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করায় প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।