সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন, যারা জলদস্যু বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান স্বপন পোদাও রয়েছেন। এ সময় সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার পর বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মাঝেরচর এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় র্যাব জানাতে পারেনি র্যাব।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব ঢাকাটাইমসের এই প্রতিবেদককে বলেন, জলদস্যু মুন্না বাহিনীর প্রধান স্বপন পোদা তার দলের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের মাঝেরচর এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালাতে যায়। স্বপন বাহিনীর সদস্যরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় এক ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হটে বনের গহীনে চলে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার এবং বেশকিছু অস্ত্র গুলি উদ্ধার করে।
গোলাগুলি থেমে গেলে নদীখালে মাছ ধরা জেলেরা সেখানে এসে মুন্না বাহিনীর প্রধান স্বপন পোদাসহ তিনজনকে শনাক্ত করে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একনলা বন্দুক দুটি, কাটা রাইফেল একটি, চারটি পাইপগান ও বিভিন্ন ধরনের বন্দুকের ৩৮ রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র।
স্বপন পোদা মুন্না বাহিনী নামে জলদস্যু বাহিনী গড়ে তুলে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলে দাবি করেন র্যাবের ওই কর্মকর্তা। এছাড়া গত ৪ জানুয়ারি মুন্না বাহিনীর সদস্যরা পটুয়াখালীর সোনারচর এলাকা দিয়ে চার জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। এরপর থেকে ওই বাহিনীকে ধরতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।