এইচ আর রুবেল, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গ্রাম প্রতিরক্ষা বাধ কেয়ারের অর্থায়নে ১৪০০ ফিট বাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে হাওর অঞ্চল খ্যাত পাহাড়পুর প্রতিরক্ষা বাধের কাজ। সঠিক সময়ে বাধের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছেন গ্রামবাসী। এতে গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি বন্যায় তলিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার ভাটি অঞ্চলের মুরাদপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে প্রতি বছর বণ্যায় বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ঐ অঞ্চলের মানুষদের। এ থেকে রেহাই পেতে ২০১৮ সালে গ্রামটির পাশে এসে দাঁড়ায় কেয়ার নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি’র মাধমে ঐ গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার জন্য দেয়া হয় ৪২ লাখ টাকা। বাধটি ২০১৯ এ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার যেনতেন করে তরিৎ গতিতে বাঁধের কাজ শেষ করেন। এলাকাবাসী অভিযোগ, ১৪০০ ফিট দৈর্ঘ আর ৮ ফুট উচ্চতা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে মাত্র ৯০০ ফিট দৈর্ঘ আর ৬ ফুট উচ্চতা। দুটি ঘাটলার পরিবর্তে দেয়া হয়েছে ১টি ঘাটলা। এছাড়াও করেছেন নকশা পরিবর্তন। ঠিকাদার মিদুল রায় বাঁধটি নির্মাণে অনিয়ম করেছেন বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। নিম্ন মানের ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে বাধের কাজ করা হয়েছে বলে জানান অনেকে। বার বার প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দেয়ার পরও আমলে নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। এতে বণ্যায় বাধ ভেঙ্গে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন গ্রামবাসী।
অভিযোগকারী আহমদ হোসেন জানান, বাধ নির্মানের সময় গ্রামবাসীর নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাটসহ নানা কাজ করা হয়। অনিয়মের প্রতিবাদ করার পরও কোন কাজ হয়নি। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে এই প্রতিরক্ষা বাধ।
বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল-নুর তারেক জানান, গ্রামবাসীর বাধার মুখে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী। পুনরায় গ্রামবাসী মুচলেকা দিলে আবারও কাজ করা সম্ভব বলে জানান এই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। অনিয়মের সতত্য পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন এই কর্মকর্তা।
বর্তমানে অনিয়মের মাধ্যমে বাধের কাজ সম্পন্ন হলেও আশংকায় দিন কাটছে এখানকার মানুষের। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বন্যার কবল থেকে গ্রামটিকে রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।