রংপুরে শীত তাড়ানোর জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া আরও চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির বার্ন ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম। এই নিয়ে চলতি মাসেই আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুরে ১৪ জনের মৃত্যু হলো।
নূরে আলম জানান, মারা যাওয়া চার নারীর মধ্যে আজ সকালে তিনজন এবং গতকাল রাতে একজন মারা যান। তবে নিহতদের নামপরিচয় জানাতে পারেনিনি তিনি।
এর আগে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মারুফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এখনো প্রায় ৫০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে আগুন পোহাতে গিয়ে এত বেশি মানুষের দগ্ধ হওয়ার ঘটনা আগে কখনও শুনিনি।’ আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আগে মারা যাওয়া ১০ জন হলেন- আঁখি আক্তার, রুমা খাতুন, আফরোজা খাতুন, শাম্মী আখতার, ফাতেমা বেগম, আলো বেগম, রেহেনা বেগম, মনি বেগম, মারুফা খাতুন এবং গোলাপী বেগম। তারা রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা সবাই শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিলেন।
এই মাসের শুরুতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আরও সাতজন, শনিবার রাতে দুইজন এবং রবিবার সকালে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী। তবে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। বিছানায় জায়গা না হওয়ায় বারান্দায় রাখা হয়েছে অনেককে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়ার্ডে মোট শয্যা সংখ্যা ২৬টি অথচ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেক রোগীকে মেঝেতে রাখতে হচ্ছে।