1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
অগ্নিঝরা মার্চ — বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী স্বাধীনতা দিবসে কাপ্তাইয়ে বীর শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সর্বস্বরের মানুষ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে আলোচনা সভা দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রের ১ম রোজা পালন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কাপ্তাই উপজেলায় বীর নিবাস পেয়ে আমরা গর্বিত কাপ্তাইয়ে বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা কাপ্তাইয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ রাইখালী ইউনিয়নে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রাইখালী রেঞ্জ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দু’টি গাড়িসহ ৬ লাখ টাকার কাঠ আটক আর্ন্তজাতিক বন দিবস কাপ্তাইয়ে আলোচনা সভা ও র‍্যালী

সুনামগঞ্জে হতাশাজনক হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের অগ্রগতি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে হতাশাজনক হাওররক্ষা বাঁধের কাজের অগ্রগতি । হাওরপাড়ের গ্রামগুলোর একাধিক কৃষকরা বলেন, ‘হাওর নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না, কোন কোন হাওরে পানি না কমায় বাঁধের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। কোন কোন বাঁধে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসির) গাফিলতির কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে।’ এই অবস্থায় শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের।

জেলার ৮৩৭ টি পিআইসির মধ্যে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়েছে ৫২ টি’র। কাজের এমন মন্থর গতিতে পাউবো’র প্রকৌশলীরাও হতাশ। পাউবো’র একজন প্রকৌশলী বলেছেন, ‘পিআইসি’র দায়িত্ব প্রাপ্তদের আরো বেশি দায়িত্বশীল না হলে সময়মত বাঁধের কাজ শেষ করা যাবে না।’

পাউবো ও কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কমিটি’র একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জামালগঞ্জের ৭০ টি’র মধ্যে ৮ টি, ধর্মপাশা উপজেলার ১৭৯ টি পিআইসির মধ্যে ১৫ টি, তাহিরপুরের ৬২ টি’র মধ্যে ৫ টি, বিশ্বম্ভরপুরের ৩৫ টি’র মধ্যে ৩ টি, সদর উপজেলার ৪৮ টি’র মধ্যে ৫ টি, দিরাই উপজেলার ১১৩ টি’র মধ্যে ৪ টি, জগন্নাথপুরের ১০৫ টি’র মধ্যে ৯ টি, শাল্লার ১৪১ টি’র মধ্যে ৫ টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ৬০ টি’র মধ্যে কোনটিতেই কাজ শুরু হয় নি, ছাতকেও ১৪ টি’র মধ্যে ১ টিতেও কাজ শুরু হয় নি, দোয়ারাবাজারের ৪৩ টি’র মধ্যে একটিতেও কাজ শুরু হয় নি।

বিশ্বম্ভরপুরের করচার হাওরপাড়/জামালগঞ্জের কৃষক আব্দুল আলী, বক্কর মিয়া, আব্দুল্লা মিয়া,সরাফত আলী, সংঙ্গত আলী, মখলিছ মিয়া বললেন, ‘হাওররক্ষা বাঁধের অনেক স্থানেই কাজ শুরু করা সম্ভব, কিন্তু যারা দায়িত্ব নিয়েছে, তাঁদের কেউ কেউ অন্যান্য বছরের মতো পানি আসার আগে কাজ করার অপেক্ষা করছে।’
এই উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের কৃষক আব্দুল কদ্দুছ বললেন,‘হাওরের অনেক স্থানে এখনো পানি আছে, তবে ইচ্ছে করলে যে অংশটুকু ভেসে ওঠেছে, ঐ অংশে কাজ শুরু করা যায়।’

বিশ্বম্ভরপুরের উপজেলার আঙ্গারুলি(ব্রজনাথপুর) হাওরপাড়ের শক্তিয়ারখলা গ্রামের কৃষক মুসলে উদ্দিন, রাজ বর্মণ, জুলহাস, রুকন মিয়া, সিদ্দিক মিয়া, রায়চান্দ্র বর্মণ, সালেহ আহমদ বলেন, ‘গত বছর ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়েছিলাম, এবারও বহুমুখি সংকট, একদিকে হাওরের পানি নামছে না, অন্যদিকে ধানের চারা বড় হয়ে নষ্ট হবার উপক্রম, আবার পানি না নামায় বাঁধের কাজের বিলম্বের কারণে হাওররক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী কাজ শুরু করলে এই সময়ে আরো অনেক বেশি কাজ হবার কথা ছিল, আমরা তাগাদা দিচ্ছি দ্রুত কাজ শুরু করার, পিআইসি’র দায়িত্ব প্রাপ্তদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
2019 All rights reserved by |Dainik Donet Bangladesh| Design and Developed by- News 52 Bangla Team.
Theme Customized BY News52Bamg;a