অনিমেষ দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের কারেন্টের বাজারের দৌলতা নদীতে সেতুর কাজ না হওয়ায় ৫০ গ্রামের অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগে রয়েছে।
জানাযায় ফেনারবাঁক, ভীমখালী ও পাশ্ববর্তী রফিনগর ইউনিয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের লোকজন প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায়। এসব এলাকার যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে বর্তমানে এটি একমাত্র রাস্তা হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।
সরাসরি গাড়ী চলাচলের বিকল্প সুযোগ না থাকায় চরম সমস্যায় রয়েছে লোকজন। প্রায় ১বছর যাবৎ সেতুর কাজ বন্দ থাকায় মানুষ পারাপার করতে বাঁশের চড়াট দিলেও তা অত্যন্ত নাজুক অবস্থাায় রয়েছে। বার বার নাম মাত্র সংস্কার করে বিল বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভান্ডা গ্রামের আবুল হোসেন,আব্দুল মালিক বলেন, ব্রীজের কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা কষ্ট করে চলাচল করছি।
লক্ষীপুর বাজারের ব্যবসায়ী দিল আহমদ,শাহানুর চৌধুরী,রেজাক মিয়া বলেন, এতদিন নৌকা দিয়ে মালামাল পরিবহন করলেও এখন নৌকা না চলায় দোকানের মাল আনতে সমস্যা হয়। ডাবল লোডিং করার কারণে বাড়তি পারিশ্রমিক ও ভাড়া দিতে হচ্ছে।
চান্দেনগর গ্রামের ইয়াকুব আলী,সন্দুর আলী,আব্দুর রহমান বলেন, এখন নদীর পানি কমেছে ব্রীজের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাই।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, কারেন্টের বাজার দৌলতা নদীর উপর সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় গত বছরের প্রথম দিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডি ২০১৭-১৮ অর্থ বৎসরে হিলিপ প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। সেতুুু নির্মানে প্রাক্কলিত মূল্য ২৩ লক্ষ টাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স শিরিন ট্রেডার্স কার্যাদেশ পেয়ে কাজও শুরু করে। গেল বছর কিছু কাজ করার পর বৃষ্টির কারনে বাকী কাজ করা সম্বব হয়নি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার শহিদূল ইসলাম বলেন, শুরুতেই কাজ ধরে ছিলাম মার্চ-এপ্রিলের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ পুনরায় শুরু করব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন,নদীতে পানি থাকায় কাজ বিলম্ব হয়েছে। ঠিকাদার কে বলেছি কাজ শুরু করার জন্য।