সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সেশনজটসহ নানা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে চাকরিতে আবেদন করা সম্ভব হয় না। তাই চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩৫ বছর করা এখন সময়ের দাবি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, দুদিন অবস্থান কর্মসূচি করব। দাবি না মানলে এখানেই অনশনে বসব।
কর্মসূচি থেকে ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় ছয় বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শুরু হয়। স্নাতক শেষ করতে ২৩ বছর লাগে। ক্যাডারের ক্ষেত্রে ২১ বছর বয়সে আবেদনের আইনটিও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ কারণে চাকরিতে আবেদনের আইনটি সংশোধন করলে বর্তমানে স্নাতক শেষে চাকরিতে আবেদনের বয়স স্বাভাবিকভাবেই তা ৩৫ বছর হয়।
সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কেন বৃদ্ধি করা হবে না। সঞ্জয় দাস বলেন, দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর, আয়ু বেড়ে ৫০ হলে তা ৩০ বছর করা হয়। এখন আয়ু বেড়ে প্রায় ৭১ হওয়ার পরও চাকরিতে প্রবেশের বয়স কোনোভাবেই ৩০ বছর থাকতে পারে না। এ বয়স অন্তত ৩৫ হওয়া উচিত।