1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : News 52 Bangla : Nurul Huda News 52 Bangla
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রের ১ম রোজা পালন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কাপ্তাই উপজেলায় বীর নিবাস পেয়ে আমরা গর্বিত কাপ্তাইয়ে বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা কাপ্তাইয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ রাইখালী ইউনিয়নে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রাইখালী রেঞ্জ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দু’টি গাড়িসহ ৬ লাখ টাকার কাঠ আটক আর্ন্তজাতিক বন দিবস কাপ্তাইয়ে আলোচনা সভা ও র‍্যালী কাপ্তাই তথ্য অফিসের সুশাসন প্রতিষ্ঠার অংশীজনদের অংশগ্রহণ সভা চন্দ্রঘোনায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার সেনাবাহিনী কর্তৃক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক পাখা বিতরণ

ফজরের সময় জাগ্রত হওয়ার কার্যকরী কৌশল

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ইসলাম ডেস্ক: মুসলমানদের জন্য ঈমান আনার পরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর জামাতে নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

কেউ কেউ এটাকে ওয়াজিব বলেছেন। হাদিস শরিফে জামাতের প্রতি বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে । এক হাদিসে এসেছে, ‘জামাতের নামাজ একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদা রাখে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৬৫০)

এক নামাজে মহানবী (সা.) কিছু লোককে পেলেন না। তিনি বললেন, আমার ইচ্ছে হয়, কাউকে কাঠখড়ি আনতে বলি। তারপর আজান দিতে বলি। এরপর কাউকে নামাজ পড়াতে বলি। অতঃপর যারা জামাতে আসে না, আমি তাদের কাছে যাই ও কাঠখড়ি জ্বালিয়ে তাদেরসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দিই। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৪; মুসলিম, হাদিস : ৬৫১)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মধ্যে এশা ও ফজরের জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

এ দুই সময়ে মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে। ফলে জামাতদুটিতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে। এজন্য হাদিসে এর প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)

সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি। এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ কোরো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, বহু মুসলমান নামাজই পড়ে না। আর যারা নামাজি, তাঁদের মধ্যে অনেকে ফজরের নামাজ নিয়মিত পড়তে পারেন না। যারা নিয়মিত পড়েন, তাঁদের মধ্যেও অনেকে ফজরের জামাতে শরিক হতে পারেন না। অলসতা ছাড়াও এর অন্যতম কারণ যথা সময়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারা। এখানে আমরা ফজরের সময় জাগ্রত হওয়ার কিছু কৌশল তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

আল্লাহকে চেনা :

ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার প্রধান কৌশল হলো আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব সম্পর্কে জানা। আপনি যদি জানেন আপনি কার ইবাদত করছেন, আর এ-ও জানেন যে তাঁর নির্দেশ হলো, আপনি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তাঁর ইবাদত করুন, তাহলে আপনি জেগে উঠবেনই!

আন্তরিকতা :

ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার ব্যাপারে আন্তরিক হোন। এটা ভাববেন না যে যদি আমি ফজরের ওয়াক্তে উঠতে পারি তাহলে ফজরের নামাজ পড়ব, বরং আন্তরিকভাবে প্রতিজ্ঞা করুন যে আমি ফজরের ওয়াক্তে জেগে উঠবোই, ইনশাআল্লাহ!

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করা :

মহানবী (সা.) বারা ইবনে আজেব (রা.)-কে বলেছিলেন, যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের ওজুর মতো ওজু করবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮৪)

বিতরের নামাজের পর দোয়া :

শেষ রাতে উঠার অভ্যাস না থাকলে বিতরের নামাজ আদায় না করে ঘুমাবেন না। আর বিতরের নামাজ আদায়ের সময় আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করুন, যাতে তিনি আপনাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করেন।

কোরআন পাঠ করে নিদ্রায় যাওয়া :

মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি অবশ্যই আপনার মনোযোগকে ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার দিকে নিবদ্ধ করবে। মহানবী (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুরা সাজদাহ ও সুরা মুলক (৩২ ও ৬৭ নম্বর সুরা) পাঠ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঘোষণাকৃত পুরস্কারের কথা স্মরণ :

মুনাফেক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার হাত থেকে বেঁচে থাকা, শেষ বিচারের দিন আলোকিত হওয়া, সারাদিন আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকা, জীবন থেকে অলসতা কেটে যাওয়া, কর্মঠ হওয়া ইত্যাদি পুরস্কারগুলোর কথা স্মরণ করুন, ইনশাআল্লাহ আপনি জেগে উঠতে পারবেন।

জাগিয়ে দেওয়ার জন্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের বলা :

পরিবারের অন্য সদস্য কিংবা বন্ধুদের বলুন আপনাকে জাগিয়ে দিতে। আর পরস্পরকে সাহায্য করুন। যদি আপনি আগে জেগে উঠেন, তাহলে অন্যদেরও জাগিয়ে তুলুন।

দুপুরে ভাত খেয়ে সামান্য ঘুম :

আরেকটি কৌশল জানা যায় সুন্নাহ থেকে। আর তা হলো, দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর সামান্য ঘুমানো। আরবিতে এটাকে ‘কায়লুলা’ বলা হয়। এই সামান্য বিশ্রামের ফলে রাতের দীর্ঘ ঘুম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এই সামান্য ঘুম আপনাকে করে তুলবে উজ্জীবিত। মস্তিস্ককে করে তুলবে সতেজ। ফলে অলসতার ঘোর কেটে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
2019 All rights reserved by |Dainik Donet Bangladesh| Design and Developed by- News 52 Bangla Team.
Theme Customized BY News52Bamg;a