আবু হানিফ, মুন্সীগঞ্জঃ গ্রামের সাহালম মোল্লার ভাড়াটিয়া জনাব ইকবাল বাবুর্চির চার বছর তিন মাস বয়সী মেয়েকে গজারিয়া থানার কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী সাহালম মোল্লার মেজ ভাই বিয়ালম মোল্লা উরফে মেনির প্ররোচনায় শাহ আলমের ছোট ছেলে সোহাগ গতকাল বিকাল প্রায় ৫ টার সময় জোর করে তাদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ের আর্ত চিৎকারে তার মা ছুটে যান।তারপর ধর্ষিতার মা তার মেয়েকে অচেতন ও উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ধর্ষিতার মা সোহাগের অভিভাবকদের জানালে সোহাগের মেজো চাচা বিয়ালম উরফে মেনি তার মা বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারার জন্য তেড়ে আসে। প্রান ভয়ে ইকবাল বাবুর্চি প্রান নিয়ে ফিরে আসে। আজ সকালে সে রসুলপুর গ্রামের মাতবরদের কাছে ঘটনা জানায়।
লোকমুখে শুনে ঘটনা স্থলে মিডিয়ার লোকজন হাজির হয়। যখন মিডিয়ার লোকজন ইকবাল এবং তার স্ত্রীর কাছে ঘটনা জানতে চায়, তখন মিডিয়ার লোকদের সামনেই তাদের উপর হামলা করতে চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আর বলে তোদের যদি কোন বাপ থাকে নিয়ে আয়। আর যদি এই ঘটনা কাউকে জানাস তবে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তোর বড় মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় এবং বলে আর তোদের গ্রাম ছাড়া করব। জানের নিরাপত্তার জন্য তারা পুলিশের শরণাপন্ন হয়। ভারপ্রাপ্ত অফিসার হারুন উর রসিদ এই মামলাটি আমলে নেয় এবং যৌন হেনস্তার স্বীকার শিশুটির জবান বন্দি নেয়। তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে বিয়ালম উরফে মেনিকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাযতে আছে। পরোক্ষনে জানা যায় ধর্ষক সোহাগের বাবা শাহ আলম মোল্লা গত রমজানের ঈদের ১৫ দিন পর ১০ হাজার ইয়াবা নিয়া ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পরে। বর্তমানে সে কুমিল্লা জেলে আছে। তার ছোট ভাই সবুজ মোল্লা দর্পণ জুয়ার কোড পরিচালনা করে কিছুদিন আগে ৪০ লক্ষ টাকার চোরাচালান মামলায় ডিবির ভয়ে গ্রামে এসে আত্নগোপন করে। বর্তমানে সে এবং তার ভাই মকসুদ প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেলের চোরাই ব্যবসা এবং শাহ আলমের অনুপস্থিতিতে তার মাদক সাম্রাজ্য পরিচালনা করে আসছে। কিছুদিন পুর্বে ডিবি পুলিশ তাদের দুই ভাইকে ধরার জন্য রসুলপুর গ্রামে হানা দিয়েছিল। কিন্ত তারা এখন এলাকা ছাড়া হয়ে আত্বগোপনে চলে গেছে।