কামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) থেকে : যশোরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নানান পেশার মানুষ। গত কয়েকদিন প্রচন্ড তাপ মাত্রার কারনে তাপদাহের কবলে পুড়ছে যশোর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত।
গত কয়েক মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশীম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সব শ্রেণির মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছাঁয়াতলে।
আর অতিরিক্ত গরমে শরীরকে একটু শীতল করতে বিভিন্ন শরবত ও ঠান্ডা পানীর খোজে মানুষ ব্যাকুল হয়ে ছুটছে। এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ সকল প্রাণী! গরম আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের দম যাই যাই অবস্থা। একটু শীতল পরশ ও ঠান্ডা পানির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ।
আর শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন তীব্র ভোগান্তিতে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই তাদের যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে যশোরে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ২৪ ডিগ্রীর কোঠায় দাঁড়িয়েছিলো। বৃষ্টিপাতের কারণেও তাপমাত্রা কমে গিয়ে আবহাওয়া ছিলো শীতল। কিন্তু ফণীর প্রভাব কাটার পরেই আবার তাপদাহের কবলে পড়েছে যশোরবাসী।
এর আগে গত ৩০ মে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ডিগ্রী সেলসিয়াস। এখন আর ও বেশি চলছে। এটি চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
যশোর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক দেবদুলাল কুমার মৈত্র সাংবাদিকদের জানান, যশোরের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে। বর্তমানে যশোরের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া এই তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।