সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। এর অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এজন্য একটি কৌশল নির্ধারণ করতে চায় সংস্থাটি। কৌশল নির্ধারণে আয়োজিত কর্মশালায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সিপিটিইউ সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিটিইউ ও ডিনেটের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক মো. আলী নূর। অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ডিনেটের সিইও এবিএম সিরাজুল হোসেন, সিপিটিইউ’র পরিচালক শীষ হায়দার চৌধুরী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর এবং ডিজিটাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আইমান সাদিক।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাহসিন ইফ-নূর সাঈদ। কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন ওয়েবএবেল ও উজ্জীবন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সিটিজেন পোর্টালের প্রমোশন পোর্টালে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার পেইড প্রমেশন, পোস্টের কন্টেন্ট, ধরন, আরও কীভাবে কার্যকর ও অর্থবহ করা যায়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের মতামত সংগ্রহ করে একটি অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিপিটিইউ উক্ত পোর্টাল নির্মাণে আগ্রহী। কর্মশালার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কী ধরনের পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের পোস্টের কন্টেণ্টগুলো কী ধরনের হতে পারে, ডিজিটাল মিডিয়ায় পেইড প্রমোশন আরও কীভাবে কার্যকর ও অর্থবহ করা যায়, সিটিজেন পোর্টালে কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যাবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কীভাবে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে এসব বিষয়ে মতামত গ্রহণ করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, সরকারের উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। জনগণকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করার জন্য সরকার এডিপির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘আইএমই বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)’ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সামগ্রিক সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য ‘ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিম্যাপ)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।