কালীগঞ্জে (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
জমিতে কোন সার,পানি সেচ অথবা চাষ না দিয়েই ছিটিয়ে দিতে হয় সরিষার বীজ। তাই নাম হয়েছে ছিটা সরিষার চাষ। এ চাষে খরচ একেবারেই নেই। কিন্ত লাভ অন্য ফসল চাষের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। তাই ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন এ চাষে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় মাত্র ৪ বছর আগে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয় এ ছিটা সরিষা চাষ। যা অল্প দিনের মধ্যেই কৃষকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলাতে মোট সরিষার চাষ হয়েছে প্রায় ১৫’শ হেক্টোর জমিতে। তার মধ্যে ছিটা সরিষার চাষ হয়েছে প্রায় ৬’শ হেক্টোর জমিতে। আমন আর ইরি ধান চাষের মাঝে যে সময়ে জমি পতিত থাকে সে সময়ে চাষ হওয়া সরিষার তেমন কোন উৎপাদন খরচ নেই। কৃষকেরা বোনাস ফসল হিসেবে এটা পেয়ে থাকে। এছাড়াও ক্ষেতে জৈব সারের অভাব পূরণ হয়। ফলে এ চাষ দিন দিন কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
একাধিক কৃষক জানান,কার্ত্তিক মাসে আমন ধান কাটার সপ্তাহ খানেক আগেই পাকা ধান ক্ষেতের মধ্যে প্রতি বিঘা জমিতে দুই কেজি করে সরিষা ছিটিয়ে দিতে হয়। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে গেলে কৃষকরা তাদের ক্ষেতের ধান কাটা শুরু করেন। পরে ওই জমিতেই বেড়ে উঠতে থাকে সরিষার ছোট ছোট চারা। আর কোন বাড়তি যত্ন ছাড়াই ৬৫ থেকে ৭০ দিনে এই সরিষা কৃষকরা সংগ্রহ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে এক বিঘা (৪৬ শতক) জমিতে ৬ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন পাওয়া যায়। আবার সরিষা সংগ্রহের পর ওই জমিতেই কৃষকেরা বোরো চাষ করে থাকেন।