পাথরঘাটা,বরগুনা প্রতিনিধি।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী বাজারে সংসদ সদস্য রিমনের নাম ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ,আওয়ামীলীগ যুবলীগ সহ বেশ ক’টি সংগঠনের ব্যানারে আজ মঙ্গলবার(১৪ জানুয়ারি)মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চরদুয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজের সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সমাজসেবক হারুন অর রশিদ জমাদ্দার,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র হাওলাদার,শিক্ষক গোলাম মাওলা মিলন,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পাথরঘাটা শাখার আহবায়ক শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়,চিংড়িপোনামাছ আড়ৎদার সমিতির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর জমাদ্দার,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক অমল শঙ্কর রায়,উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক জহির রায়হান, পাথরঘাটা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি বাসুদেব শীল,চরদুয়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান লাবু, পাথরঘাটা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি সুনীল কুমার হালদার,মো.হাফজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বরগুনা-২ সংসদিয় আসনের সরকার দলিয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নাম জড়িয়ে ঢাকার একটি কাগজে এবং বেশক’টি অনলাইন নিউজ মন্দিরে হামলা ও যুবককে মারধরের সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় পাথরঘাটা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলন করেন। ওই সংবাদ সন্মেলনে সভাপতি অরুন কর্মকার বলেন একটি মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইছে। আমরা এই খবরটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা শাখার সভাপতি অরুন কর্মকার লিখিত বক্তব্যে বলেন,একটি কুচক্রি মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে। আমাদের জানামতে চরদুয়ানীতে কোনো মন্দির ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি।
এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন কখনো মসজিদ-মন্দির ভাঙ্গার রাজনীতি করেন না। যে প্রিয়াঙ্কা মিত্র তার মন্দির ভাঙ্গার কথা বলেছেন ;সেটি এখনও তেমনই আছে। আর ওই স্থানটিতে প্রিয়াঙ্কা মিত্র মন্দির স্থাপন করে অবৈধ উপায়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন ।
পুজা পরিষদের সহ সভাপতি সুনীল হালদার বলেন, তাইমুল ইসলাম নামে জনৈক মুসলিম ব্যক্তির সাথে প্রিয়াঙ্কার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ওই তাইমুল একজন নেশাখোড়, ইয়াবাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী । প্রিয়াঙ্কার আদৌ কোনো জমি নাই। সে হাইস্কুল ও পানি উন্নয়নবোর্ডের জমিতে অস্থায়ী মন্দির নির্মান করে তার দখল নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
পুজা পরিষদের সাধারন সম্পাদক রাজীব মৃধা বিটুল বলেন, একজন সৎ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অপবাদের তীব্র নিন্দা জানাই। পুজা পরিষদের সহ সভাপতি বাসুদেব শীল বলেন,বর্তমান সাংসদের আমলে আমাদের মন্দিরে যে উন্নয়ন হয়েছে;তা আর কোনো আমলে হয়নি। যিনি মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করেন,মন্দিরে অনুদান দেন; তিনি কি করে মন্দির ভাঙ্গেন?আমরা এই সংবাদের প্রতিবাদ জানাই। যে সাংবাদিক বন্ধুরা এই সংবাদটি প্রকাশ করেছেন;তাদেরকে বিনয়ের সাথে বলছি আপনারা বিষয়টির অধিকতর তদন্ত করেন;তবেই ওখানকার প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারবেন।