ইবি, প্রতিনিধি।
তুরস্কের কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয়ে
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সাথে কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ইবিতে উচ্চশিক্ষাও গবেষণার সুযোগ পাবেন। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারির নিকট এ চুক্তিনামা হস্তান্তর করেন।
চুক্তি হস্তান্তরকালে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, আইআইইআর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহের আলী, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান সহ ইবি প্রেসক্লাব ও ইবি সাংবাদিক সমিতির বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন সেল সূত্রে, চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৫ বছরের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মেভলোনা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম প্রোটোকলের আওতায় এ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা, অনার্স, মাষ্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে তারা অংশ নিতে পারবেন। প্রতি বছর উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি বিভাগের প্রত্যেকটি থেকে কমপক্ষে ৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ সুযোগ পাবেন। বিভাগগুলো হলো- ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস স্টাডিজ এন্ড ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, মার্কেটিং, ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, কম্পিউটার সায়েন্স, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি ও গণিত বিভাগ। দুই দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের সম্পূর্ন শিক্ষা খরচ তুরস্ক বহন করবে বলে চুক্তিনামায় নিশ্চিত করা হয়েছে। জয়েন ট্রেডিং সিস্টেমে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ২ সেমিস্টারের এক সেমিস্টার ইবিতে এবং আরেক সেমিস্টার কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনার্স প্রোগ্রামে ৪ বছরের ২ বছর ইবিতে এবং বাকি ২ বছর অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
চুক্তিনামা হস্তান্তরকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, “তুরস্কের সাথে এমওইউ চুক্তিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়েকে আর্ন্তজাতিকীকরণের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। চুক্তিটি আামাদের জন্য একটি বড় অর্জন ”