জেসমিন জামান: রাজউকের নকশা অনুযায়ী নির্মিত ভবনের আকৃতি ভাঙ্গতে নিষেধ করায় ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হামলা, ভাংচুরের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কনকর্ড আর্কেডিয়া শপিং মলের ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডি রোড-৪, প্লট-১ ও ২ কনকর্ড আর্কেডিয়া শপিং মল ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানানো হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন এসোসিয়েশনের সভাপতি সানাউল হক নীরু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক মো: মোক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহমেদ বাবু, সহ-সভাপতি একেএম সাইদুর রহমান, আল-আমিন,সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গির আলম, মোঃ আবিদুর রহমান (শাহিন), খোরশেদ আলম,মিজানুর আহমেদ, ইমতিয়াজ করিম শুভ,ফকরুল ইসলাম।
নীরু বলেন, গত ২১ জানুয়ারী বেলা ১১ টার দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালের এমডি ডা. এমএ শামীমের নেতৃত্বে বিপুল পরিমান লোকজন লাঠি-সোটা ও মারাত্বক অস্ত্রে শজ্জিত হয়ে শপিং মলের উপর হামলা চালায়। তারা মলের পশ্চিম দিকের মেইন গেটের গ্লাসডোরসহ গেটের উপর গ্লাস ভাংচুর করে। এছাড়াও মলে থাকা ব্যাংকের এটিএম বুথ, নিফট ও নিচ তলার ১০১ নম্বর দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় তাদের হামলায় মলের সিকিউরিটি গার্ডসহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েনে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌছালেও সংখ্যায় কম থাকায় তাদের সাথে পেরে ওঠেনি। পরে অন্যান্য থানা থেকে আরো পুলিশ আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। কিন্তু বিকেল ৩ টার দিকে পুনরায় আরো লোকবলে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায় তারা। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলে করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে হামলাকারীরা। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে একজন চিকিৎসকসহ ৭ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা শপিং মলের শাটার বন্ধ করে ভেতরে মিটিং করা অবস্থায় আমাকেসহ ৫জনকেও আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা জামিনে বেরিয়ে আসি।
নীরু আরো বলেন, রাজউকের নকশা অনুযায়ী ২০০২ সালের ১ নভেম্বর শপিং মলটি উদ্বোধন করা হয়। ওই নকশার উপর ভিত্তি করেই এখানে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানসহ বিভিন্ন পজিশন ক্রয় করেন। কিন্তু ২০০৫ হঠাৎ করে জানা যায়, কনকর্ড কর্তৃপক্ষ অধিক মুনাফার জন্য মার্কেটের তৃতীয় তলার ৩০১-০৫১ চতুর্থ তলার ৪০১ থেকে ৪৫১ এবং পঞ্চম তলার ৭০০০ বর্গফুট ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে বিক্রি করে দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওই দোকান গুলো ভেঙ্গে হাসপাতাল নির্মান করতে চাইলে সাধারন ব্যবসায়ীরা বাঁধা দেন। কারন হাসপাতালের লোকজনের কারনে তাদের ব্যবসার চরম ক্ষতি হতে থাকে। এই নিয়ে একাধিক মামলা ও জিডি দায়ের করা হয়।
কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের কথা না শুনে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা, ভাংচুর চালিয়ে সব কিছু দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের এই কর্মকান্ডে শতশত দোকান মালিক ও শ্রমিকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সঠিক বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা করছে শপিং মলের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ।