এইচ অার রুবেল, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারে অবস্থিত শতবর্ষী সেই বট গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। যা নিয়ে স্থানীয়রাসহ পুরো জেলার সাধারণ মানুষদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে ওয়ানওয়ে রাস্তা নির্মানের ফলে বাধ্য হয়েই গাছটি কর্তন করতে হয়েছে। এমতাবস্থায় শতবর্ষী কালের স্বাক্ষী এই গাছটির স্মৃতি রক্ষার্থে অনেকেই আবার জয়গাটির নাম বটগাছের সাথে মিল রেখে বটতলা রাখার জন্যও দাবী জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, সওজের কোন একজন কর্মচারী প্রায় শত বছর পুর্বে শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে ওই বটগাছটি রোপন করে। পরে বটগাছটি চারদিকে ছাতার মত হয়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে দিনের পর দিন দাড়িয়ে থাকে। গাছটির ছায়ার নিচে অনেক ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের আবার পিঠাসহ ফলফ্রুট বিক্রি করতেও দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে গাছটি কেটে ফেলার ফলে সেই সেই দৃশ্য হয়তো আর দেখা যাবে না। তাই গাছটি কেটে ফেলা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শতবর্ষী বিশাল আকৃতির এই বটগাছটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক মিলে কাটার জন্য কাজ করছে। গত দুই তিন ধরে চলা কাজ যেন শেষ করতে পারছে না শ্রমিকরা। কেউ গাছের ডাল আবার কেউবা কর্তণ করছে গাছের গোড়া। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছটি কাটার জন্য কাছ করছেন তারা। আবার অনেককেই কালের স্বাক্ষী এই গাছটি কাটার দৃশ্য দাড়িয়ে দেখছেন অথবা মোবাইলে ভিডিও করে রাখছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া জানান, রাস্তার উন্নয়ন কাজের স্বার্থেই গাছটি কর্তণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে এই জায়গাটির পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখা হবে। এই জায়গায় রাস্তার পার্শ্ববর্তী আরো বেশ কয়েকটি বট গাছ রোপন করা হবে। একই সাথে স্মৃতি রক্ষার্থে জায়গাটির নাম পুরানবাজার বটতলা রাখা হবে বলেও জানান তিনি।