প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
মীর মশাররফ হোসেন ভবনের দ্বিতীয় তলার করিডোরে শত শিক্ষার্থীদের ভীড়। ভীড় সামলে সামনে এগুতেই দেখা মিলল দেড়শ রকমের পিঠা। পিঠাই পিঠাই একাকার পুরো করিডোর জুড়ে। শুরু করলাম পিঠার নাম আর গণনার কাজ। চিতই, পুলি, ভাজাপুলি, পাকান, গাজরের বরফি, ফুলপিঠা, শঙ্খপিঠা, পাটিসাপটা, জামাইপিঠা, বাঁধাকপির পাকুড়া, ঝাল পিঠা, ভাজাপুলি, সুজির বরফি, মাংসের পিঠা, দাবা-কোট পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, ঝালপিঠা, গোলাপ পিঠা, মাছ পিঠা, হৃদয় হরণ পিঠা, ঝালপোয়া, বিস্কুট পিঠা, নকশি পিঠা সহ প্রায় দেড়শ রকমের পিঠার সমাগম এখানে। লাল-বেনারশি শাড়ি পরে পিঠা প্রদর্শনে ব্যস্ত সময় পার করছেন একদল তরুনী। দেখিয়ে দিচ্ছেন কোনটার কি নাম, পিঠা বানানোর প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে রবিবার (০১ মার্চ) বসন্তের আগমনী বার্তায় শীতের বিদায়ী আমেজে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২ টায় ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা।
এসময় তারা শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত বিভিন্ন রকমের পিঠা দেখেন এবং তা খেয়ে স্বাদ গ্রহন করেন। পরে উৎসব স্থলেই এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জুলফিকার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা।
এসময় প্রধান অতিধি বলেন, বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক আয়োজনে এ ধরনের পিঠা উৎসব হয় না। কিন্তু লোকপ্রশাসন বিভাগ আজ সেটা করে দেখিয়েছে এবং পিঠার প্রতি আমাদের ভালোবাসা আরো জাগিয়ে তুলেছে। এই অভূতপূর্ব আয়োজন আমাকে আনন্দিত করেছে, মুগ্ধ করেছে এবং সম্মানিত করেছে। তিনি বলেন, এই আয়োজন অন্য বিভাগের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিবা ইয়াসমীন, অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক ড.মুন্সী মর্তুজা আলীসহ বিভাগের সকল স্তরের শিক্ষক কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।