প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মোট ১৪৪ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। যার মধ্যে শিক্ষক রয়েছেন ৫৫ জন এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৯ জন। মেভলোনা একচেঞ্জ প্রোগ্রামের অধীনে ইউরোপীয় এ দেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সোমবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন সূত্রে, দুই দেশের মধ্যে হওয়া মোবিলিটি চুক্তির অধীনে ২০ টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে তুরস্কের কাফকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ টি বিভাগ থেকে ৫৪ জন শিক্ষার্থী ও ২৬ জন শিক্ষক, ইগদির বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ টি বিভাগ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী ও ২০ জন শিক্ষক এবং চানকেরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টি বিভাগ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক অধ্যয়ন ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও আবাসনসহ সকল খরচ তুরস্ক বহন করবে বলে জানা যায়।

সুযোগপ্রাপ্ত বিভাগগুলো হলো, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি, পদার্থ, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, ফার্মেসি, জীব বিজ্ঞান, ফুড সায়েন্স, পরিবেশ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা (ম্যানেজমেন্ট), মার্কেটিং, ট্যুরিজম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, আইন, ইংরেজি, আরবি ও চারুকলা বিভাগ।

এবিষয়ে ডিভিশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসাইন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীরা ৫ মাস এবং শিক্ষকরা ১৪ দিনের জন্য এ প্রজেক্টে অংশ নিতে পারবেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে বিভাগ শিক্ষার্থীদেরকে মনোনিত করে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনে জমা দেবে। অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন এই তালিকা তুরস্কের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে প্রেরণ করলে তারা চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন করবে।

সভায় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসাইন আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘গোটা বিশে^ উচ্চ শিক্ষা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। একুশ শতকে মোবিলিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন ও গবেষণার এ সুযোগ আমাদের জন্য একটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়।