এফ এম আনসারী : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিষেধের পরও দক্ষিনখান এলাকার চালাবন, শাহ জুমুর উদ্দিন রোডে একটি সাড়ে সাততলা ভবনের নির্মানকাজ চালিয়ে যাচ্ছে রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এর মহাব্যবস্থাপক (পরি উন্ন) এর প্রকৌ, মোঃ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী। ভবনটি তিনি রাজউকের ইমারত নির্মান বিধিমালা অনুযায়ী করছেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, রাজউকের নিয়মানুযায়ী একটি ভবন নির্মানকালীন সময়ে ভবনের সামনে তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড ও নিরাপত্তা জনিত কারনে সেফটিনেট ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি তা মানেননি। অর্থাৎ ভবনের সামনে রাজউকের অনুমোদিত কোন তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড ও সেফটিনেট নেই। এ বিষয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট জোনাল অফিসের ইমারত পরিদর্শককে অবহিত করা হয়েছে। তিনি ভবন নির্মাতাকে সতর্ক করেছেন।
তারা আরো জানান, প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী আরপিজিসিএলে নানা অপকর্ম করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এ টাকা দিয়ে সে ২০০৫ সালে দক্ষিনখানের ওই এলাকায় চার কাঠা পরিমান একটি জায়গা কেনেন। ওই জায়গায় তিনি এ ভবনটি নির্মাণ করছেন। বর্তমানে তিনি উত্তরা আবাসিক এলাকার ৯ নম্বর সেক্টরের ৩/এফ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করেন। শোনা যায়, এ বাড়িটি তার নিজের। এছাড়া সে চারটি আলিশান গাড়ি ব্যবহার করেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। সেখানে তার একটি পেট্রোল পাম্প আছে এবং নামে বেনামে অনেক অর্থ সম্পদ রয়েছে।
জানা যায়, তিনি ১৯৯৩ সালে চাকরীতে যোগদান করেন। ২০০৫ ইং সালে তিনি ১০ লাখ টাকা দিয়ে ওই জায়গাটি কেনেন। ২০০৬ সালে তিনি উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট কেনেন।
দক্ষিনখানে নির্মানাধীন ওই ভবনটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনটি রাজউকের অনুমোদিত নকশানুযায়ী নির্মান করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। এ বিষয়ে নোটিশ করার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে আরপিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (পরি ও উন্ন) এর প্রকৌ, মোঃ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীর কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সরাসরি তার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।