মোঃ ছাইদুর রহমান ,কাউখালী প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে করোনা আতঙ্কে গত দু’দিন ধরে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে দক্ষিণ বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩২হাজার ৫’শত টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা খালেদা খাতুন রেখা।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সাপ্তাহিক হাটের দিন এক ঘন্টার মধ্যে বেশি মূল্যে আদায় করে পেয়াজ আলু বিক্রি বন্ধ করে দেয় বিক্রেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ বাজারে পেঁয়াজের মূল্য খুচরা বাজারে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দাম বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা। রসূনের মূল্য ছিল ৬০ টাকা দাম বেড়ে গিয়ে হয় ৯০টাকা। চালের বাজার মূল্য বস্তা ছিল ১৩ শত থেকে ১৭ শতটাকা বর্তমান মূল্য দাঁড়ায় ২ হাজার থেকে ২১ শত টাকা। আর এতে অতি উৎসাহী লোকজন বাজার থেকে চাল ও পেঁয়াজসহ সকল নিত্য পণ্য আগাম ক্রয় করে মজুত করে রাখেন। আর এ সুযোগকে পুঁজি করে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল-পেঁয়াজসহ নানা রকম নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি শুরু করেন।
এ বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখার নেতৃত্বে ও কাউখালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দক্ষিণ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাদশাকে ৫হাজার টাকা, সাইদুর রহমানকে ৫হাজার টাকা, সুখরঞ্জন দেউড়িকে ৫হাজার টাকা, বশির উদ্দিনকে ২হাজার টাকা, পেয়াজ ব্যবসায়ী জসিমকে ৫হাজার টাকা, মজিবুর হাওলাদার ১হাজার টাকা, বিষ্ণন্নকে ৩হাজার টাকা, সাহেব আলীকে৫’শত শংকর কুন্ডুকে ৫হাজার টাকা এবং আলতাফকে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, কোনো ব্যবসায়ী করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যদি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানকালে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন সহ কাউখালী থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।