হাকীম গোলাম আজম ইরাদ, মাদারীপুর।
সামাজিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শিহাব উদ্দিন সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় নিজ উদ্যোগে শিবচর বাজারের নিত্যপণ্য ও ঔষুধের দোকানের সামনে গোলবৃত্ত এঁকে দিচ্ছেন। এতে যারা জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে দোকানে যাচ্ছেন তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে।
শুক্রবার পর্যন্ত মাদারীপুরে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল ১৩৫০ জন এবং হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে ছিল ৩ জন। সদর হাসপাতালের আইসলেশনে ছিল ৩ জন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩ জন রিলিজ নিয়েছে এবং সদর হাসপাতালের আইসলেশনে থাকা ৩ জনের ২ জন রিলিজ হয়েছে। এখন আইসলেশনে আছে ১ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ৮৪৮ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৫০৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানের সামনে এক মিটার দূরুত্ব বজায় রেখে গোল বৃত্ত দিয়ে চিহ্ন এঁকে দিচ্ছেন। যারা এসব দোকানে আসছেন নির্দিষ্ট দূরত্বে (১ মিটার এর অধিক দূরত্বে) তারা বৃত্তাকার স্থানে লাইনে দাঁড়িয়ে ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। দোকানের সামনে ভিড় পরিহার করে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। শুক্রবার সকাল থেকেই কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে বাজারের ঔষুধ ও নিত্যপন্যের দোকানগুলোতে ঘুরে ঘুরে এই কার্যক্রম চালান ছাত্রলীগ নেতা।
এদিকে শিবচরে করোনা ভাইরাসের লকডাউনের সপ্তম দিনের মাথায় খাদ্য সহায়তা পেয়েছে ৬০০ জেলে পরিবার। শিবচর রাধাগোবিন্দ মন্দির মাঠে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, চিনি, ওষুধসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শিবচর পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন খান বলেন, গত ২০ মার্চ শিবচর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড, পাঁচ্চর ইউনিয়নের একটি গ্রাম ও দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের একটি গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর ফলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের মাঝে বিতরণ করা হয় খাদ্যসামগ্রী। এদিকে লকডাউন ঘোষণার পর শিবচর উপজেলার হাটবাজারে কমে গেছে লোকজনের সমাগম। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। এছাড়া রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত।