মাদারীপুর প্রতিনিধি :
এবার মারামারি ছাড়াতে গিয়ে মামলার প্রধান আসামী হলেন ব্যবসায়ী বিল্লাল মোল্লা। এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তিতে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবসায়ী বিল্লাল মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন। তারা মিথ্যা মামলা থেকে বিল্লাল মোল্লাকে অব্যাহতি দেয়ার দাবী করেন। সেই সাথে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থার দাবী করেন।
স্থানীয় একাধিক লোকজন ও ভূক্তভোগিরা জানান, গত ৩ মে রবিবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার রাস্তি এলাকায় স্থানীয় ফিরোজ শাহী গ্রুপের সাথে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রাজু হাওলাদারের ভাগিনা বাবু
মাতুব্বরের পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ব্যবসায়ী বিল্লাল মোল্লা এলাকা দিয়ে যাওয়া সময় ঝগড়া মিমাংসার চেষ্টা করে।
এতে বাবু হাওলাদার গ্রুপের লোকজন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে বিল্লাল মোল্লা তার নিজ বাড়ীতে ঘরের মধ্যে অবস্থান গ্রহণ করেন। পরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে তার লাইসেন্সকৃত সর্টগান থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় পরের দিন বাবু মাতুব্বর বাদী হয়ে বিল্লাল মোল্লাকে প্রধান আসামী করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে বিল্লাল মোল্লাকে একাধিকবার জীবননাশের হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
ভূক্তিভোগি বিল্লাল মোল্লা জানান, ‘আমি মারামারি ঘটনার সাথে জড়িত না। পক্ষে-বিপক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমি তৃতীয়পক্ষ হিসেবে বিবাদ মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরেও আমাকে একটি
মিথ্যা মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে আমাকে হেয় ও হয়রানির চেষ্টা চলছে। আমি আগামীতে রাস্তি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো, সেখানে আমাকে বাঁধা দিতেই এসব মামলা দেয়া হচ্ছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবী করছি।’
এব্যাপারে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল মিঞা বলেন, ‘রাস্তির সংর্ঘষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আদালত দোষীদের বিচার করবে। পুলিশ সব সময় আইনকে সহযোগিতা করে।’
মামলার বিষয়ে বাদী বাবু হাওলাদারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।