মনিরুজ্জামান মনির, শৈলকুপা প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ধুলিয়াপাড়া গ্রামে জোড়া খুনের পরের দিন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম) এর উদ্যোগে বিশেষ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) বিকাল ৪টায় ধুলিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম, ওসি ডিবি আনোয়ার হোসেন, শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান, ওসি তদন্ত মহসিন হোসেন, কচুয়া তদন্ত কেন্দ্র ওসি পিয়ার আলী, ৫নং কাঁচেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. সালাহ্উদ্দিন জোয়ার্দার মামুন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পুলিশ সুপার নিহত অভি ও লাল্টুর পরিবারের লোকজন ও এলকাবাসীর বক্তব্য শোনেন। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এলাকাবাসীও কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন।
এসময় পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, ঝিনাইদহ জেলায় ২০ মাস চাকুরিকালীন সময় বড় ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে এ উপজেলায় ৪টি মার্ডার সংঘটিত হয়েছে। মার্ডার পরবর্তী এ এলাকায় লুটের রেওয়াজ আছে। যেকোন মুল্যে এ লুটপাট পুলিশ ঠেকাবে। যদি কেউ কোন বেআইনি কর্মকান্ড করে তাহলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, পবিত্র রমজান মাসে করোনা মহামারীতে সবাই যখন আতংকিত তখন কতিপয় সন্ত্রাসি এলাকায় মানুষ হত্যা করে রক্তের হোলী খেলবে আর পুলিশ ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবে সেটা যেন কেও না ভাবে। হত্যার সাথে যে বা যাহারা জড়িত আছে তাদেরকে দ্রুত গেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি এ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের কাছে আবেদন করেন যে, তারা যেন কারো উস্কানিতে পড়ে লুটপাট বা আইন শৃংখলার অবনতি হয় এমন কোন কাজ করবেন না।
তিনি আরো বলেন, যারা এ এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে তাদেরকে এমন অবস্থা করা হবে যেন সারাজীবন পুলিশের কথা মনে থাকে, আর অন্যায় করার কথা যেন স্বপ্নেও কল্পনা করতে না পারে । আইনের হাত অনেক লম্বা । ইতিপূর্বে এ এলাকায় আইন শৃংখলার অবনতি হলে গত ১০ই মার্চ বিবাদমান দুপক্ষের মধ্যে মিমাংশা করা হয়েছিল। তিন মাস এ এলাকায় শান্তি বিরাজ করছিল । আজ আবার যারা আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালো সে যেই হোকনা কেন তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
জোড়া খুনের ঘটনায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুুলিশ। মামলা নং-১২ তাং ১২/৫/২০২০ ।
কাঁচেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. সালাহ্উদ্দিন জোয়ার্দার মামুন বলেন, এই গ্রামে যারা বসবাস করেন তারা সবাই আমার লোক, কেননা গত নির্বাচনে ও এখানে আমি ৫০ ভোট বাদে সব ভোট পেয়েছিলাম। আমি কোন পক্ষের লোক নই,আমি শান্তি চাই। আমি ও যদি কোন দোষ করে থাকি তাহলে আমার ও বিচার হোক। তিনি সবাইকে ধৈর্য্য সহকারে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্ববান জানান।