মনিরুজ্জামান মনির, শৈলকুপা প্রতিনিধি-
সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিল দোকান-পাট, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
ঈদকে সামনে রেখে সীমিত আকারে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গার্মেন্টস দোকান, বিপনী বিতান সহ সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেচা-কেনা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গত ১০ মে থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ৯ মে থেকে শৈলকুপায় শুরু হয় ধুমচে বেচা-কেনা। সীমিত আকারে বলা হলেও পুরোদমে খুলতে শুরু করে দোকান পাট। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌর শহরের পাইলট স্কুল মার্কেট, জনতা ব্যাংক মার্কেট, মদিনা সুপার মার্কেট, লালন সুপার মার্কেট, বিশ্বাস সুপার মার্কেট, মদিনা সুপার মার্কেট, আলহাজ¦ মার্কেট ও ব্রীজ রোড মার্কেট সহ ফুটপাত দোকানগুলোতে পোশাক, জুতা স্যান্ডেল ও কসমেটিকস কিনতে ভীড় করছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
সরেজমিনে এসব মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেচা-কেনা করছে ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দুরত্ব না মেনে দোকানে পাশাপাশি বসে পোশাক কিনছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেক দোকানে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লভস পরছেন না ক্রেতারা।
পোশাক কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় জরুরি অনেক কিছুই কিনতে পারেননি। এ কারণে বাধ্য হয়ে শহরে এসেছেন নিজের ব্যবহারি কিছু মালামাল কিনতে। আর কদিন পরেই ঈদ। বুঝতে পারছি মার্কেটে আসা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হলেও কিছু করার নেই।
অন্যদিকে ব্যাংকগুলোতে ঘুরে দেখা যায় একই ভয়াবহ চিত্র। অধিকাংশ গ্রাহকদের মুখে নেই মাস্ক ও সামাজিক দুরত্ব রক্ষা চিত্র চোখে পড়েনি।
সামাজিক দুরত্ব বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, সব দায়িত্ব থানার ওসিকে দেয়া হয়েছে, তিনি সব কিছু দেখভাল করছেন।
এব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। তাঁর নির্দেশনা পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।