মনিরুজ্জামান মনির-
করোনার মহামারীতে বিশ্ব আজ ধরাশায়ী। বেড়েই চলছে মৃত্যুর মিছিল। সারা বিশ্ব আজ লকডাউন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের প্রতিষ্ঠান। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় শুধু সরকারিভাবেই নয়, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অসহায় এই মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। দিচ্ছেন চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী।
এমন দুঃসময়ে মানবতার ফেরিওয়ালার মত অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক ট্রেজারার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আইন ছাত্রদের সংগঠন রুলার প্রথম নারি সভাপতি আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
ইতিমধ্যে চার বার প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন প্রিয় অঙ্গন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের অসহায় কর্মচারীদের মধ্যে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন,আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ হচ্ছে তারা যাদের সাথে আমি সার্বক্ষণিক একসাথে চলি। বিপদে আপদে আমরা একে অপরের পরিপূরক। এই দুঃসময়ে আমাদের আইনজীবীদের উচিত সবার আগে তাদের পাশে দাড়ানো। সেই দ্বায় বদ্ধতা থেকে আমি তাদের পাশে চারবার দাড়িয়েছি এবং প্রয়োজনে এ সাহায্য ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সচেতনতা মুলক কার্যক্রম করে চলেছেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনজীবীদের খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত।বিশেষ করে তরুন,যুব আইনজীবীদের।
নাহিদ সুলতানা যুথি শুধু একজন আইনজীবী নেত্রী নন। তার আর একটা পরিচয় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব,অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশের সহধর্মিণী।
করোনা কালিন যুবলীগ দেশব্যাপী যে ব্যাপক উপহার বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান শেখ পরশের নেতৃত্বে যা ইতিমধ্যে সারাদেশে প্রশংসনীয় হয়েছে তার নেপথ্যে সহধর্মিণী হিসেবে স্বামী পরশকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছেন নাহিদ সুলতানা যুথি।
ইতিমধ্যে ২৫ মে দুজনের বিবাহ বার্ষিকী থাকলেও কোন আনুষ্ঠানিকতা পালন করেননি। বরং সেই অর্থ দিয়ে উপহার সামগ্রি কিনে তা নিজ হাতে প্যাকেট করে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যে বিত্তদের বাড়িতে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা সারাদেশে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি আর মাননীয় নেত্রীর নির্দেশনা, যারা লজ্জায় ত্রাণের জন্য বাহিরে আসতে পারেন না কিন্তু এখন বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে অসহায়। সেই পরিবার গুলোকে খুজে বের করা। যা অত্যন্ত কষ্টের কাজ তবুও আমি অনেকের বাড়িতে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরেছি। এ জন্য ভীষণ ভালো লাগছে। আপনারা অবগত যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ত্রাণ নয় মানুষের হাতে উপহার তুলে দিচ্ছে।
নাহিদ সুলতানা যুথি পাবনার মেয়ে। তার বাবা ছিলেন পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান। শিক্ষকের সন্তান হিসেবে পাবনার মানুষের পাশে দাড়ানোর দায় বদ্ধতা তিনি ভুলে যাননি। পাবনা সদরে তিনি হাজার হাজার মানুষকে উপহার হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ও নগদ অর্থ অসহায় মানুষের হাতে পৌঁছে দেন সামাজিক শারিরীক দুরত্ব মেনে সুশৃঙ্খলভাবে যা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখানো হলে ব্যপক প্রশংসা পায়।
এ বিষয়ে নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন ,মানবতা বোধ থেকে মানুষের জন্য কাজ করছি। আল্লাহ সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ । তবে সবার আগে আমাদের এই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। আপনারা আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন সুস্থ থাকেন। তিনি সুস্থ থাকলেই আমরা এই দেশকে মহামারী মোকাবেলা করতে সচেষ্ট হবো। তিনি আমাদের প্রেরণা। নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের এই দুর্যোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করবেন। আমীন।