মমিনুল ইসলামঃ-
জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গে চাঁদপুরে আইসোলেশনে ৩ জনসহ জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৪জন, হাজীগঞ্জে ২জন, ফরিদগঞ্জে ১জন এবং মতলব উত্তরে ১ জন।
শুক্রবার সকালে চাঁদপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলার দিবাকর (৫০), চাঁদপুর শহরের দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ( ৬৭) ও শহরের গুয়াখোলার
বাসিন্দা জয়দল (৬৩) ।
চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, সবাই করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন (৬৭) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যান।
গুয়াখোলার জয়দল (৬৩) বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল ৯ টায় মারা যান।
ফরিদগঞ্জের দিবাকর (৭৩) গত ৮ জুন ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় মারা যান।
এছাড়া মতলব উত্তরে ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের কাচারিকান্দি ( আমিরাবাদ) গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মোঃ জামান (১২)শুক্রবার সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। জামানের বাবা মা ঢাকা কমলাপুর থাকতো। ১১ জুন বিকালে ঢাকা থেকে বাবা মায়ের সাথে দেশে আসলে ১৫ ঘন্টার পর দেশের বাড়িতে মারা গেছে।
সূএে জানা যায় ঢাকা কমলাপুর পাসের বাসায় করোনায় আক্রান্তে মারা গেছে এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি ছিলো ঐ বাসায়। জামানকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী (৮০)করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
শুক্রবার সকাল ৮.৩০ মিনিটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়
হাজিগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের বাউড়া সর্দার বাড়ীর বাসিন্দা আব্দুল মোমেন(৫৮) বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় আলীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
শুক্রবার সকাল ৮ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।