নির্জিত একাকী মেয়ে — মোহাম্মদ হাসানুর রহমান
স্বর্ণলতার কোমলতায় স্নেহ মায়ায় বাঁধনঘর
লজ্জাবতী লাজুকলতা বিদ্যা বুদ্ধি ক্ষুরধার,
পিতৃগৃহে ঠাঁই মেলেনা,পায় না আসন সংসারে
অন্তরিত বাসনা তাঁর শুকায় কুঁড়ি অন্তরে।
সকাল দুপুর কাজের চাপে,বিকেল কাটে ব্যস্ততায়
সন্ধ্যে হলে স্মৃতির পাতা খুঁজে ফেরে আশার পাল,
নিশীথ রাতে শূন্যহৃদয়,দু’চোখ ভরা অশ্রুজল
সঙ্গী যে তাঁর চার দেওয়াল,বদ্ধ ঘরের দীর্ঘশ্বাস।
ঘনজটার বিজন ঘরে,গল্প সাজায় আপন নেশায়
ভোরের সূর্য স্বপ্ন ভাঙে,নতুন আশায় বাঁচতে শেখায়
পাষাণ চাপা বুকের ব্যাথা,মনোকষ্ট দুঃখাবশেষ
দিনের আলোয় সদাহাস্য,অশ্রুজলের নেইকো লেশ।
নাগা হলেও সন্ন্যাসী যে!দোষ দেখে না মরদের
লোলুপ দৃষ্টে দেখে নারীর কুঞ্চলীঢেউ কটিদেশ,
স্নিগ্ধময়ী সুহাসিনী, সদাব্যস্ত সুভাষিণী
তর্কবাগীশ ধর্মোম্মাদ কয়-তবুও সে কুহকিনী।
তন্বী দেহ সুদর্শণা তবুও সয় কথার বাণ
স্বয়ংবরা হবে তবুও লজ্জাবতীর কই অধিকার?
বুকের ভিতর দুঃখের সাগর, লোকাপবাদ চোখে জল
দোষে-গুনে ভরা দেবী নির্জিত রহে চিরকাল।