মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর টরকী গ্রামের রহমত উল্লাহ মাস্টারের ছেলে মো. মহিব উল্লাহ খোকন (৪৫) কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে এক দল দুর্বৃত্ত।
ঘটনার ২৫ দিন পরও আহত মহিব উল্লাহ খোকন বর্তমানে কুমিল্লায় একটি হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় তার ভাই মো. শরীফ উল্লাহ বাদী হয়ে গত ১৬ জুন হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম, হুমকি ও লুট ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হল- সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মনজুর মোর্শেদ স্বপন (৫২), ছিডু বেপারীর ছেলে আব্দুর রহমান বেপারী (৫৫), আব্দুল করিমের ছেলে ওমর ফারুক গফুর (৪০), হানিফ (৩০), লনি মিয়ার ছেলে মাছুম (২৬), মোছলেম উদ্দিনের ছেলে আহাম্মদ (২৭), আলী নেওয়াজের ছেলে সজিব (২৭), মো. জহিরের ছেলে ইমন (২৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে তুষার (২৪), রব খন্দকারের ছেলে সুমন খন্দকার (৪০) ও বাচ্চু মিজির ছেলে বশির (৪০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুন বিকালে সাড়ে ৫ টার সময় তাতুয়া যাওয়ার সময় কামার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ইউপি চেয়ারম্যান মনজুর মোর্শেদ স্বপনের নির্দেশে তার লোকজন দা, ছেনি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মহিব উল্লাহ খোকনকে এলোপাথারী কোপায়। খোকনের মাথায়, হাতে ও পায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক ভাবে কোপ দেয়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় খোকনকে উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি গৌরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় পরে সেখান থেকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা।
মামলার বাদী মো. শরীফ উল্লাহ বলেন, চেয়ারম্যান মনজুর মোর্শেদ স্বপন এলাকায় তার লোকজন দ্বারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। এলাকায় মাদক কারবারি, চুরি, ডাকাতি সহ সবধরনের অপকর্মের সাথে সে জড়িত। তার এবং তার লোকজনের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তার উপর হামলা করে। শরীফ উল্লাহ আরও বলেন, আমার বোনকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আসামীরা বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করে। এ ঘটনায় আমার বোন মেহেরুন নেছা পলি থানায় জিডি দায়ের করায় আসামীরা তাকে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে আমার ভাই মহিব উল্লাহ খোকন প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। আমার ভাই এখনও হাসপাতালের বেডে জীবন মৃত্যুর মাঝখানে লড়াই করছে।