কাপ্তাই প্রতিনিধি :-
অগ্রহায়ণ মাসের আগমনের পাশাপাশি শীতের আগমন দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভোর বেলা ঘন কুয়াশা ও শীতের আগমন ঘটছে। একটু গরম ও শীত হতে রক্ষা পেতে আরাম আয়েশের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা গুলোতে বালিশ, লেপ, তোষক,মেট্রোস তৈরির ধুম দেখা দিলেও পার্বত্যঞ্চলগুলোতে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে কাপ্তাই উপজেলয় লেপ, তোষকের তৈরির প্রভাব তেমন দেখা যায়না।
পার্বত্যঞ্চলে শীতের আগম ঘটলেও লেপ,তোষোক তৈরির কারিগরদের মধ্যে তেমন ব্যস্থতা দেখা যায়না। কাপ্তাই নতুন বাজার ইলিয়াছ বেডিং স্টোর গিয়ে দেখা যায় কারিগররা অলোস সময় পার করছে। কথা হয় কারিগর কাজী মোঃ আফছার উদ্দিনের সাথে তিনি প্রতিনিধিকে জানান,এখন আর আগের মত কেউ বালিশ, লেপ,তোষোক তৈরি তেমন করছেনা। কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,গত বছর এ শীতে প্রতিদিন ২০/২৫টি বালিশ, লেপ,তোষোক, মেট্রোস তৈরি করা হত। আমরা দিন – রাত তৈরি কাজে ব্যস্থ থাকতাম। কসুতা ,তুলা,গামের্ন্টস তুলাসহ সকল কিছুর দাম ঠিক আগের মত রয়েছে এ কাজের কোন জিনিসের দাম বাড়েনি। কিন্ত্ম বর্তমান করোনা ভাইরাসের ফলে মানুষের হাতে টাকা না থাকার কারনে কেউ আর এ সকল লেপ,তোষোক তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। অভাব আর অনোটনে, করোনা ভাইরাসের ফলে অর্থ সমস্যা হল প্রধান কারন। তিনি বলেন,বর্তমানে আমরা সরকারি কর্মরত লোকদের ২/১টি কাজ পাচ্ছি। বাকি সময় আমরা অলস সময় কাটছি বলে উল্লেখ করেন। এদিকে এ কাজে অনেক দোকান ব্যবসায়ী একই অবস্থা বলে উল্লেখ করেন।
মোঃ ইলিয়াছ বলেন,আমরা প্রতি বছরের মধ্যে শীতের দু’টি মাস ব্যবসার জন্য অপেক্ষা করি কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য সে ব্যবসায় ধস নেমেছে। তবে সামনে কি হয় আল্লাহ ভালো জানেন বলে উল্লেখ করেন।