কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।
মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কুষ্টিয়ায় এক কুয়েক শিক্ষকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫) ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
ওই শিক্ষের নাম ড. মো. সেলিম হোসেন। তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম এলাকার মো. শুকুর আলীর ছেলে।
খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ সাজাদ, খুলনা খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার, কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারহান লাবিবের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় পুলিশ, সংবাদকর্মীরা, নিহতের বাবা, স্বজন ও শতশত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পরে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ খানজাহান আলী থানা লাশ উত্তোলন করেছে। কুমারখালী থানা পুলিশ শুধু আইনী কাজে সহযোগীতা করেছে।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারহান লাবিব বলেন, ‘ লাশ উত্তোলন করে কুষ্টিয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজই বাঁশগ্রাম কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
অধ্যাপকের বাবা মো. শকুর আলী বলেন, ‘ পুলিশ মামলা আমলে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমি লাশ তুলতে রাজি হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
উল্লেখ্য যে, গত ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।
উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁর মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম কবরস্থানে দাফন করা হয়।