লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ(স্টাফ রিপোর্টার)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পবিত্র পুরো কোরআন শরীফ হাতে লিখে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
দীর্ঘ দেড় বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় জারিন তাসনিম দিয়া এ কাজটি শেষ করেছেন। কোন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পড়েই পবিত্র কোরআন লেখার মতো এ কঠিন কাজের জন্য রীতিমতো প্রশংসায় দাবীদার জারিন তাসনিম দিয়া। বর্তমানে জারিন তাসনিম দিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়।
জানা যায়, লকডাউনে ঘরে বসে নিজের অবসর সময় পার করতে বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন শরীফ হাতে লিখা শুরু করেন। বিরামহীন অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের পর অবশেষে দীর্ঘ দেড় বছর পর মোট ৩০ পারার এক এক করে ১১৪টি সুরা লিখে শেষ করেন দিয়া। ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু করে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তার এ কাজটি শেষ হয়।
তিনি জানান, একদিন তাঁর বাবা ঘরে টানিয়ে রাখার জন্য তাকে যেকোনো একটি দোয়া লিখে দিতে বললে তিনি জীবনের প্রথমবারের মতো দেখে দেখে কোরআনের অংশবিশেষ (আয়াতুল কুরসী) লিখেন। তার এ লেখা দেখতে সুন্দর হওয়ায় তার বাবা ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পুরো কোরআনই লেখার অনুপ্রেরণা জোগান। এছাড়া তারও ইচ্ছা ছিল করোনা মহামারিতে লকডাউনে ঘরে আবদ্ধ থাকার সময়টুকুকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল কিছু করা যায় কি না। এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই শুরু হয়ে যায় পুরো কোরআন হাতে লেখার কঠিন এ কাজটি সম্পন্ন করার সংগ্রাম।
হাতে কোরআন লেখার অনুভূতির কথা জানতে চাইলে দিয়া বলেন, ‘এ কাজটি আমার জীবনের সেরা একটি অর্জন। মানুষের জীবন তো খুব বড় নয়। আমি না থাকলেও আমার এ কাজের জন্য মানুষ হয়তো আমাকে মনে রাখবে।’