কাপ্তাই প্রতিনিধি।
রাঙ্গামটি কাপ্তাই উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘বীর নিবাস’ পেয়ে আমরা গর্বিত। কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড নারানগিরি মুখ এলাকায় বসবাসকরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রশিদ আহম্মদ(নৌকমান্ড) পরিবার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ আহম্মদ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যজনিত কারনে ১লা অক্টোবর ২০১৬ ইং তারিখ মৃত্য বরণ করেন। নিজস্ব কিছু বসবাসের জায়গা থাকলেও ছিলনা কোন ভাল ঘর। বর্ষা ও বৃষ্টিতে ভাংগা ঘরে কষ্ট করতে হতো পরিবারের সকল সদস্যদের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের নিজস্ব জায়গা আছে তাদের বিনামূল্য সরকারের খরচে বীর নিবাস করে দেয়।
তারি ধারাবাহিকতায় মৃত্যু বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ আহম্মদ পরিবারকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করে দেয়া হয়।
কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.রুহুল আমিন জানান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প এটি করে।সাড়ে ৪ শতাংশ জায়গার ওপর বীর নিবাসটি নির্মাণ করা হয়েছে। একতলা ভবন,দু’টি শয়ন কক্ষ, লিভিং রুম, ডাইনিং রুম, বাথরুম দুইটি, কিচিং রুম একটি, বারান্দাসহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। দেখতে অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর এ বীর নিবাসটি। নির্মাণ খরচ হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে ঘর পরিদর্শনে গিয়ে বলেন,এত সুন্দর ভাবে বিনা খরচে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর নিবাস করেছে যা অতুলনীয়। কাপ্তাই উপজেলায় এটি প্রথম বীর নিবাস উপহার। শুনেছি এর আগেও প্রভু দেয়ান নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস করে দেয়া হয়েছে। আশাকরি এ পরিবার সকলে সুন্দরভাবে নিবাসটি ব্যবহার করবে।
কাপ্তাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ও মো. ইস্রাফিল হোসেন জানান,আমাদের সহপাঠী মৃত্যু বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদকে বর্তমান আ’লীগ সরকার বিনামূল্যে বীর নিবাস করে দিয়েছে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মৃত্যু বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ আহম্মদ এর ৩ ছেলে ৩ মেয়ে রয়েছে,স্ত্রী নেই। বড় ছেলে মো. আব্দুর রহমান জানান, আমাদের বিনামূল্যে বীর নিবাস তৈরি করে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।